ডিজিটাল হওয়ার পথে আরো এক কদম, jio mart ও WhatsApp বদলে দেবে নিম্নবিত্তের জীবন ও জীবিকা,

 

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই jio তে ৪৪ হাজার কোটি টাকার লগ্নি করেছেন ফেসবুক (Facebook) । এই গাঁটছড়া এক ই কমার্স ব্যাবসায় বিপ্লব আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। জিও মার্ট (jio mart) কে হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp) এর সাথে জুড়ে আমাজন (amazon) ফ্লিপকার্টের (flipkart) বাজার দখল নিতে চাইছেন অম্বানি।

ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করতে জিওমার্টকে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। দেশের ছোট ও মাঝারি দোকান, মুদি, স্টেশনারি দোকান, হকার, ছোট ব্যবসায়ীদের এক ছাতার তলায় আনতে জিওমার্ট ও হোয়াটসঅ্যাপ মিলে তৈরি হবে নতুন ই-কমার্স মডেল৷। যেখান থেকে অনলাইনেই স্থানীয় দোকান বা বাজার থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অর্ডার দেওয়া যাবে। দাম মেটানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমেই। আর সেই অর্ডার নিয়ে বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেবে জিওমার্ট।

পাশাপাশি, জিওমার্ট আর হোয়াটসঅ্যাপের জুটিতে ছোট ব্যবসায়ীরাও ডিজিটাল কেনাবেচায় অভ্যস্ত হবেন। লকডাউন বা ভবিষ্যতে এমন সঙ্কটের পরিস্থিতি এলে অনলাইনেই গ্রাহকরা জিনিসপত্রের অর্ডার দিতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যবসার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে দেশে। ছোট ব্যবসায়ীদের রুজি রোজগারে টান পড়বে না। দ্বিতীয়ত, সুবিধা রয়েছে গ্রাহকদেরও। বাড়ি বসেই সহজে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস চলে আসবে হাতে। জিওমার্ট যেহেতু রিল্যায়ান্স জিও-র প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় অফারও চলতে থাকবে বিভিন্ন সময়ে।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে মুকেশ আম্বানির সংস্থার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৫৬-৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে তার ১০ শতাংশ শেয়ারের মূল্য হয় ৬.৫ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার।নিজের ফেসবুক পেজে এই ব্যাপারে লিখেছেন জুকারবার্গও। তিনি বলেন, ফেসবুক জিও প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জোট বাঁধছে। আমরা আর্থিক বিনিয়োগ করেছি। তারসঙ্গে আমরা একসঙ্গে সামনে কিছু বড় প্রোজেক্টে কাজ করতে চলেছি, যা ভারতে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেবে।

https://www.instagram.com/tv/B_RKPTTDrOA/?igshid=1xsf8qyuk1amm

বাজারে আসার পর টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি প্রায় বেশীর ভাগটাই নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছে জিও। নিত্যনতুন প্লান এনে জিও সবসময়ই গ্রাহকদের খুব পছন্দের টেলিকম পরিষেবা হয়ে উঠেছে। অপরদিকে ভারতী এয়ারটেল সহ অন্যান্য টেলিকম সংস্থা যথেষ্ট প্রতিযোগিতার সামনে ফেলেছে জিও কে।

অনেক ক্ষেত্রে জিও এর আগেই তারা অভিনব সুবিধা নিয়ে আসছে। সব মিলিয়ে,বর্তমানে দেশের এক নম্বর টেলিকম সংস্থা Reliance Jio। গোটা দেশে সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা ৩৭ কোটি ছাড়িয়েছে।
এই মুহূর্তে দেশে জিও শেয়ার বেশ লাভজনক। জানা যাচ্ছে এবার জিওর শেয়ার কিন্তু উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক জায়েন্ট Facebook।

সম্পর্কিত খবর