স্কুল শিক্ষিকার এত লক্ষ টাকার সোনাদানা! সায়গলের স্ত্রীর ‘মণি-মাণিক্য” দেখে হতবাক খোদ বিচারপতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরু পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। তৃণমূল নেতার পাশাপাশি তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal), দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের (Sehgal Hossain) বর্তমান ঠিকানা তিহাড় জেল। তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সোনা-রূপার অলংকারও। যদিও সমস্ত সোনার গয়নাই সায়গালের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দেকর (Somaiya Khandekar) ওরফে জুঁই- এর বলেই দাবি করেছেন সায়গালের আইনজীবী। যা শুনে রীতিমত অবাক বিচারক।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসে ছিলেন সোমাইয়া খন্দেকর। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। আর পাঁচটা শিক্ষক শিক্ষিকার মতই বেতন পান সায়গালের স্ত্রী। কিন্তু সম্পত্তির নিরিখে সকলকেই টেক্কা দিচ্ছেন তিনি। মাত্র ৬ বছর স্কুলের শিক্ষকতা করে কিভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন সেই উত্তর হাতরে বেড়াচ্ছেন বিচারক।

গরু পাচার কাণ্ডে বুধবার আসানসোল সিবিআই আদালতে ছিল সায়গাল হোসেনের ভার্চুয়াল শুনানি। এদিন শুনানির সময় তার কত টাকা সোনা এবং রুপোর গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেই হিসেবের খতিয়ান আদালতে পেশ করে সিবিআই। তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

যদিও এই সোনার গয়নার রশিদ দেখিয়ে সেগুলি ফেরত চাওয়া হয়েছে সায়গালের পরিবারে তরফে। তবে সিবিআই আধিকারিকদের দাবি, রশিদ থাকলেও সেগুলি ভুয়ো। অন্যদিকে অভিযুক্তের আইনজীবীর তরফে দাবী করা হয়েছে, সোমাইয়া ২০১৪ সাল থেকে চাকরি করছেন। আর সেই চাকরির টাকা থেকেই অল্প অল্প করে গয়না কিনেছেন তিনি।

যদিও আইনজীবীর এই কথা শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। মাত্র ৬ বছর শিক্ষকতা করে কিভাবে ৩৬ লক্ষ টাকার গয়না বানানো সম্ভব এই প্রশ্নই তুলেছেন তিনি। যদিও শুনানি শেষ হলেও বাজেয়াপ্ত করা সম্পূর্ণ গয়না ফেরত দেওয়ার দাবি খারিজ করে দেন বিচারপতি।

তবে ৯০ হাজার টাকার কাছাকাছি গয়না ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রাজেশ চক্রবর্তী। জানা যাচ্ছে, যে গয়না ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে প্রায় ৭০ হাজার টাকা সোনার গয়না রয়েছে। ১৭ হাজার টাকা রয়েছে রুপোর গয়না।

Avatar
additiya

সম্পর্কিত খবর