কানাইয়া ওমর এর স্মৃতি উসকে আবার অগ্নিগর্ভ JNU, মুক্ত ভারতে কেন “আজাদী” স্লোগান!

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক : একাধিক রাস্তাঘাট বন্ধ। বন্ধ হয়ে গেছে পরিষেবা। যে এন ইউ পরিবেশ করে তুলেছে একেবারে অগ্নিগর্ভ। হ্যাঁ যে ঘটনা আপনারা সারা দিন বিভিন্ন চ্যানেল টিভিতে দেখছেন তারই এক খন্ড বহিঃপ্রকাশ ঘটছে জে এন ইউ তে। ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন এগুলো ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশ। কিন্তু সে আন্দোলন যখন মানুষের জীবনকে নিয়ে টানাটানি করে মানুষের জীবনকে করে তোলে দুর্বিষহ তখন সে আন্দোলন আর কোন নৈতিকতা হারায়। সেই আন্দোলন হয়ে ওঠে একরকম জঙ্গী আন্দোলনের সমান। রাস্তায় আম্বুলান্স বন্ধ হাজার রোগী কাতরাচ্ছে। মানুষ তাদের নিজস্ব দরকারি কাজে যেতে ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা। দুঃখ নেই তাদের। আন্দোলনের বহ্নিশিখা জ্বলছে যেন ক্যাম্পাসে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য হস্টেলের ফি বেড়েছে। প্রতিবাদে উত্তাল জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্য়ালয়। উপাচার্য সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চলছে প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান, দেওয়াল লিখন। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে রাখা স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। এরপরই আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে জেএনইউ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এরপরে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে আরও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বিশ্বদ্যালয়ে ভাঙচুর চালানো ও সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগে আন্দোলনকারী ১০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হতে পারে। এবং শেষ পর্যন্ত তা হয়েছে।

জওহরলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম জগদেশ কুমার টুইটে বৃহস্পতিবারের ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, ” স্বামী বিবেকানন্দ যুব সমাজের আইকন। তাঁর মূর্তি ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। এই কাজ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।”

সম্পর্কিত খবর