বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটক (Karnataka) সরকার হিন্দু রিলিজিয়াস অ্যান্ড চ্যারিটেবল Hindu Religious and Charitable Endowments (HR&CE) বিভাগের ফান্ড মন্দির ব্যতীত অন্য কাজে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছে। রাজ্য সরকার দ্বারা এই আদেশ ২৩ জুলাই ২০২১-এ জারি করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কর্ণাটকের HR&CE বিভাগ দ্বারা জারি করা আদেশে বলা হয়েছে যে, হিন্দু মন্দিরের থেকে প্রাপ্ত ধন আর সম্পতির ব্যবহার অন্য কোনও অ-হিন্দু সংস্থা এবং অ-হিন্দুদের কল্যাণের জন্য ব্যাবহার করা যাবে না। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে হিন্দু মন্দির থেকে প্রাপ্ত ধন অন্য ধর্মের মানুষদের কল্যাণের জন্য বিতরণ করার কারণে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। তাঁদের দাবি ছিল, মন্দিরের থেকে প্রাপ্ত ধন শুধু হিন্দুদের জন্য ব্যবহার করা হোক, অন্য কোনও ধর্মের জন্য না।
গত মাসে কর্ণাটক সরকার মন্দিরে সেবা করা পুরোহিতদের পাশাপাশি মসজিদের ইমাম আর মোয়াজ্জেনদের মাসিক ৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। আর সেই টাকা মন্দিরের ফান্ড থেকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এরপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা কড়া আপত্তি জাহির করেন। VHP এই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপিও দিয়েছিল। এরপর সরকার মন্দিরের ফান্ডের টাকা দিয়ে ইমাম ও মোয়াজ্জেনদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত রদ করে।
একটি আধিকারিক বয়ান জারি করে রাজ্যের মন্ত্রী কোটা শ্রীনিবাস পূজারী বলেছিলেন যে, বিভিন্ন হিন্দ সংগঠনের তরফ থেকে প্রাপ্ত আবেদনের পর আধিকারিকদের HRCE বিভাগ থেকে অন্য কোনও ধর্মের মানুষ এবং ধার্মিক স্থলে দেওয়া আর্থিক সহায়তা তৎকাল রদ করার আদেশ জারি করা হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে, রাজ্যের মোট ৭৬৪ অন্য ধার্মিক স্থলে HRCE থেকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছিল, যেটা এখন বন্ধ করে দেওয়া হল।