ঋণ নিয়ে রাঁধুনির কাজে যাচ্ছিলেন বিদেশে, তার আগেই লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিতলেন অটো ড্রাইভার

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এ যেন এক ভানু পেল লটারির গল্প। দিন আনা দিন খাওয়া পেশায় অটোচালক মুহূর্তেই চলে এলেন খবরের শিরোনামে। ভাগ্যদেবীর প্রসন্নতায় রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠা কেরলের ওই বাসিন্দার নাম শ্রীবরাহমের অনুপ। ওনাম উৎসবের বাম্পার লটারিতে ২৫ কোটি টাকা জিততেই তার এক্কেবারে ভাগ্যবদল হয়ে গেল। বলা বাহুল্য, অধরা স্বপ্নকে পূরণ করতে আরোও একধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি। বড় রাঁধুনি হওয়ার ইচ্ছে নিয়েই প্রথমে ব্যাঙ্ক থেকে ৩ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি, পরে অবশ্য মত পাল্টান।

এখন প্রশ্ন হল ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন ?

   

শনিবার কেরলের বাসিন্দা শ্রীবরাহমের অনুপ ওনাম বাম্পার লটারি কেটেছিলেন। তবে, রবিবার লটারির ফল কী হতে পারে সেই বিষয়ে খুব একটা জানার আগ্রহ ছিল না তার। কিন্তু ফল ঘোষণার পরেই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তাঁর মোবাইলের স্ক্রিনে ভেসে ওঠে বাম্পার লটারি জেতার বার্তা। অনুপ অবশ্য স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি যে তিনি জিততে পারেন। অনুপের কথায়, ‘‘জিতব না ভেবেই টিভিই চালাইনি। পরে ফোনে একটা মেসেজ আসতেই দেখি আমি নাকি জিতে গিয়েছি। প্রথমে, বিশ্বাস করতে পারছিলাম না বলে স্ত্রীকেও দেখিয়েছি।’’ অনুপ জানান, পরে এক ভদ্রমহিলা তাঁকে ফোন লটারি জেতার সুখবর দেন।

অনুপের কথায়, লটারির টিকিট কিনতে গিয়ে প্রথমে তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন অন্য একটি টিকিট। কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই তিনি হাতের টিকিটটি রেখে অন্য একটি টিকিট কেনেন। সেই টিকিটেই অবশেষে তার ভাগ্যবদল হয়। তিনি বলেন, ‘‘গত ২২ বছর ধরে লটারি খেলছি। কখনও পাঁচশো-সাতশো, খুব বেশি হলে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জিতেছি।’’

Kerala auto driver,Onam lottery,Loan,Lottery winner,Kerala,Lottery,Indian Rupee,Crore,Interest,Bank,India

তবে, ২৫ কোটি টাকার লটারি জিতলেও তার পুরোটাই কিন্তু তিনি হাতে পাবেন না। হিসাব মতো কেটেকুটে অনুপের হাতে আসতে পারে ১৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। তিনি বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক-কে ফোন করে জানিয়ে দিয়েছি যে আমার আর লোনের দরকার নেই। আমি মালয়েশিয়াও যাব না। এই টাকা দিয়ে পরিবারের জন্য আগে একটা বাড়ি বানাব। তার পর সব কিছু।’’

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর