বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে উত্তাল গোটা বাংলা। অভয়ার বিচার এখনো কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে। একদিকে যেখানে আর জি করের নির্যাতিতার বিচারের দাবি উঠছে, উল্টোদিকে কেরলের রায় যেন এক অন্য দিশা দেখালো। ধর্ষণের (Rape) মত জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে বিরাট রায় দিল কেরল আদালত। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে টিউশন শিক্ষককে ১১১ বছরের কারাদণ্ড। সেইসাথে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। জরিমানা না দিতে পারলে আরো ১ বছর কারাদণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর আদেশ রয়েছে। ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল কেরালায়?
কেরলে ধর্ষণের (Rape) অপরাধে রায় আদালতের:
২০১৯ সালে কেরলের তিরুবনন্তপুরমের ঘটনা। সেই সময় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগ ওঠে টিউশন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জানা যায়, ছাত্রীকে স্পেশাল ক্লাস দেওয়ার নাম করে টিউশনের জন্য বাড়িতে ডেকে পাঠিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়, ছাত্রীর ধর্ষণের ভিডিও নিজের ফোনে রেকর্ড করেছিলেন তিনি। এমন ঘটনার পর থেকেই ছাত্রী টিউশন পড়তে যাওয়া বন্ধ করে দেন। অবশেষে সেই বিরাট অপরাধের রায় শোনালো তিরুবনন্তপুরমের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।
ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ভাইরাল করে দেন সমাজ মাধ্যমে: পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক সরকারি চাকরি করতেন। পাশাপাশি টিউশনও পড়াতেন তিনি। জানা যায়, টিউশনের নাম করে যে ছাত্রীকে তিনি পড়ার জন্য ডেকে পাঠিয়েছিলেন, তাকে বাড়িতে ধর্ষণ (Rape) করেন। এমনকি গোটা বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করে সমস্ত ভিডিও এবং ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেন। এরপরই ছাত্রীর পরিবার ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এমন জঘন্য অপরাধের (Crime) জন্য পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুনঃ ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ডে সম্মতি এই দেশের! নিমিশাকে বাঁচাতে এবার বড় ঘোষণা দিল্লির
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত বারংবার তদন্তকারীদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তদন্তকারীরা অভিযুক্তর মোবাইলের সূত্র ধরেই দোষী প্রমাণ করেন তাকে। দীর্ঘ ৫ বছর এই মামলার বিরূদ্ধে লড়াই করে অবশেষে আইনজীবীরা ছাত্রীর হয়ে সুবিচার ছিনিয়ে আনলেন। সেই সাথে ধর্ষণের (Rape) মত অপরাধের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিও আদায় করেছেন।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার বুকে নেটমাধ্যমে অত্যন্ত জনপ্ৰিয় এই মন্দিরে চলছে “তোলাবাজি”! বিস্ফোরক অভিযোগ কুণালের
ঠিক কি শাস্তি দিয়েছে আদালত: সূত্র মারফত জানা যায়, তিরুবনন্তপুরমের ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক আর রেখা ওই টিউশন শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে। আর ধর্ষণ (Rape) এবং সমাজ মাধ্যমে সেই ভিডিও ভাইরাল করার অপরাধে সেই টিউশন শিক্ষককে ১১১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্তকে ১.০৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নারী সুরক্ষার জন্য এমন রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেই বলা যায়।