১৯ বছর বয়সে খাতা, কলমের বদলে হাতে বাসের স্টিয়ারিং! অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছেন কলকাতার কল্পনা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বয়স বছর কুড়ি। কিন্তু জীবন আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মতো নয়। এই বয়সের মেয়েদের হাতে যেখানে থাকে বই, স্টাডি মেটেরিয়াল বা দামি মোবাইল ফোন সেখানে কল্পনার হাতে বাসের স্টিয়ারিং। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। সদ্য কুড়ি পেরোনো কল্পনা বই, খাতা ছেড়ে আপন করে নিয়েছেন নোয়াপাড়া – ধর্মতলা রুটের 34c বাসকে।

নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন এর কাছে থাকেন কল্পনা মন্ডল। তার বাবা ছিলেন 34c বাস রুটের চালক। বছর দুয়েক আগে একটি দুর্ঘটনা পায়ে চোট পান তিনি। তারপর থেকে আর বাস চালাতে পারেন না। কিন্তু অনেক আগেই বাবার কাছে বাস চালানো শিখে নিয়েছিল কল্পনা। সেই শেখা যে এরকম ভাবে কাজে আসবে তা কোনদিন ভাবতেও পারেনি সে। বাবা, মা, দিদি ও দুই দাদাকে নিয়ে সংসার কল্পনা মন্ডলের। বাবার দুর্ঘটনার পর সংসারে শুরু হয় অনটন। সংসারের হাল ধরতে পরিবারের সব থেকে ছোট মেয়ে হওয়া সত্বেও বাস চালানোকে তার পেশা হিসেবে বেছে নেয় কল্পনা।

Baranagar Esplanade route,lady Bus driver,34c bus,Kalpana Mondal,Kolkata

সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ভিডিও দেখে তাকে বাহবা দিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু শুরুটা মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। মেয়ে হওয়ায় তাকে বাস ভাড়া দিতে চাননি অনেক বাস মালিক। সেই অর্থে পরিবার ছাড়া আর কাউকে পাশে পাননি কল্পনা। কিন্তু নিজের অদম্য জেদ কে কাজে লাগিয়ে বাস তথা সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তিনি।

সকল বাধা বিপত্তিকে পেরিয়ে গত আট মাস ধরে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছেন কল্পনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও আপলোডের পর লক্ষ লক্ষ মেয়েদের অনুপ্রেরণা তিনি। এহেনো কল্পনাকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই বাবার। তার ছোট মেয়ে যেভাবে কাজ করছে তা এক দৃষ্টান্ত। সগর্বে সে কথা জানান গর্বিত বাবা।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর