পাকিস্তানে ২০ হাজার বর্গফুট এলাকায় নির্মাণ হবে কৃষ্ণ মন্দির, সরকার দেবে ১০ কোটি টাকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই প্রথম হিন্দু মন্দির তৈরি হতে চলেছে পাকিস্তানের (Pakistan) রাজধানী ইসলামাবাদে (Islamabad)। শহরের বাইরে গিয়ে যাতে আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পুজোর কাজ করতে না হয়, তাই এই ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন।

প্রথমবারের জন্য এই মন্দির তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানের রাজধানীতে। মাটি খুঁড়ে মন্দির স্থাপনের কাজ শুরু করলেন পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সম্পাদক লাল চাঁদ মাহি। ইসলামাবাদের এইচ-৯/২ সেক্টরে কৃষ্ণ মন্দির স্থাপনের কাজ শুরু করে তিনি টুইট করে লিখেছেন এটা ইসলামাবাদের প্রথম হিন্দু মন্দির।

জানা গিয়েছে, ইসলামাবাদের হিন্দুরা সংখ্যায় দিনদিন বাড়তে থাকায় অনেকদিন থেকেই এমন একটা মন্দিরের দাবি করছিলেন আর রাজধানী শহরে অনেক হিন্দু মন্দির পরিত্যক্ত, ব্য়বহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংক্রান্ত পার্লামেন্ট সচিব লাল চাঁদ মাহি। তাছাড়া ইসলামাবাদে হিন্দুদের দাহ করার কোনও জায়গা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি, ইসলামাবাদের এইচ ৯ সেক্টরে এই মন্দিরের ভূমি পুজোও হয়ে গেল। প্রায় ৪ ক্যানাল জমি এই মন্দির নির্মাণের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। পাকিস্তান সংসদের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী লাল চাঁদ মালহি জানিয়েছেন, শেষ কয়েক দশকে পাকিস্তানে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে হিন্দু জনসংখ্যা। অনেকদিন ধরেই রাজধানীতে বাসরত হিন্দুরা একটি মন্দিরের দাবি তুলছিলেন। সেই দাবি মেনেই এই মন্দির তৈরি করা হবে।

এর পাশাপাশি হিন্দুদের দাহ করার কোনও শ্মশানও ইসালামাবাদে নেই। সেটিও আলাদা করে একটি তৈরি করা হবে। ইসলামাবাদ হিন্দু পঞ্চাযেত মন্দিরের নাম দিয়েছে শ্রী কৃষ্ণ মন্দির, যেটি তৈরি হবে প্রায় ২০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে। এই মন্দির তৈরির সমস্ত খরচ পাকিস্তান সরকার বহন করবে বলেও জানিয়েছেন পাকিস্তানের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী। মন্দির তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ১০ কোটি পাকিস্তানি টাকা।

লাল চাঁদ মাহি ছাড়াও মাটি খোড়ার সময়ে ছিলেন প্রীতম দাস, মহেশ চৌধুরি, অশোক কুমার-সহ বাকি হিন্দু পঞ্চায়েত সদস্য।

সম্পর্কিত খবর