‘সমর্পণ করতে চাইলে পাঁচ মিনিটে বেরিয়ে আয়” জঙ্গিরা শোনেনি ভারতীয় সেনার কথা! তারপরেই হল খতম

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাঁম জেলার খুড়বানির বনপোরা এলাকায় জঙ্গি আর সেনার (Indian Army) মধ্যে হওয়া এনকাউন্টারের (Encounter) সময় ভারতীয় সেনা আরও একবার জীবনের মুখ্য ধারা থেকে জঙ্গির রাস্তা আপন করে নেওয়া যুবকদের ফেরত আনার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যায়। এই অভিযানে সেনার ১ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, সিআরপিএফ আর জম্মু কাশ্মীর পুলিশ অংশ নেয়। এই এনকাউন্টারে বারবার জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

প্রথমে দুই জঙ্গির পরিবারের মানুষকে ডেকে তাদের দিয়ে আবেদন করানো হয়। কিন্তু তাতেও তাঁরা আত্মসমর্পণ না করলে, সেনা চেষ্টা চালায়। সেনা সুত্র অনুযায়ী, এনকাউন্টারে প্রাক্তন জঙ্গিদের অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। এই এনকাউন্টারের একটি ভিডিও সামনে এসেছে।

   

প্রায় এক মিনিটের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, জওয়ানরা জঙ্গিদের বারবার আত্মসমর্পণ করার জন্য আবেদন করছে। জওয়ানরা বোঝায় যে, যারাই হাতিয়ার তুলে নিয়েছে, তাঁরাই মারা গেছে। এখনো তোমাদের কাছে সুযোগ আছে, তোমরা আত্মসমর্পণ করে দাও। যদি স্যারেন্ডার করতে চাও, তাহলে বাইরে এসো। পাঁচ মিনিটের মধ্যে বাইরে চলে আসো। এটাই শেষ সুযোগ।

সেনার এক আধিকারিক জানান, যখন আমরা জানতে পারি যে, কাশ্মীরের স্থানীয় যুবকেরা ভিতরে লুকিয়ে সেনার উপর হামলা চালাচ্ছে, তখন আমরা বারবার তাদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলি। উনি বলেন, অনেকেই আছে যে যারা ভুল বুঝে জঙ্গি খাতায় নাম লিখিয়েছে কিন্তু তাঁরা এবার জীবনের মূল ছন্দে ফেরত আসতে চায়। আমাদের প্রচেষ্টা থাকে যে, তাদের জীবনের মূল ছন্দে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ সহযোগিতা থাকুক।

আধিকারিক জানান, ২০১৯ থেকে জিসিও ১৫ কোরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজিএস ঢিলোন ‘অপারেশন মা” এর শুরু করেছিলেন। আর ওই অপারেশনে ২০১৯ এই ৫০ এর বেশি যুবককে জীবনের মুখ্য ধারায় ফেরত আনা হয়। এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনো পর্যন্ত ১০০ এর বেশি যুবককে জীবনের মূল ধারায় ফেরত আনা হয়েছে।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর