শুভেন্দুর জায়গায় কি এবার লক্ষণ শেঠ? মেদিনীপুর দখল করতে মরিয়া তৃণমূল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনের পূর্বে আরও এক নাম নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। প্রাক্তন সিপিএম নেতা লক্ষণ শেঠ (lakshman shet) কি তবে এবার তৃণমূলের ছত্রছায়ায় আসতে চলেছেন? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলার বাতাসে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে হলদিয়ায় কুণাল- লক্ষণ এক মঞ্চে থাকাতেই, এই জল্পনা আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।

   

সিপিএমের দাপুটে নেতা লক্ষণ শেঠকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে বহিস্কার করার পর কখনও বিজেপি, আবার কখনও কংগ্রেসে যোগ দিয়েও যুতসই কাজ করতে না পারায় দল ছেড়ে চলেও গিয়েছেন। তবে এদিনের এই অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (kunal ghosh) এবং লক্ষণ শেঠকে একই মঞ্চে দেখা দেওয়ায়, তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা তীব্র হয়ে উঠেছে।

হলদিয়ার অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে কুণাল ঘোষ এবং লক্ষণ শেঠ উপস্থিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কিছুদিন আগেই লক্ষণ শেঠের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছিল। নন্দীগ্রামের বিষয়ে তিনি বললেন, তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য সরকার তাঁর ঘাড়েই বন্দুক রেখে সমস্তটা করেছিল। এই কাজে তাঁর কোন ভূমিকা ছিল না। দল যা বলেছিল, তিনি তাই করেছিলেন। তবে আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মধুসুদন মন্ডল, যিনি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের একেবারে গোড়ার দিকের সেনানী। সেদিক থেকে দেখতে গেলে লক্ষণ শেঠকে এই অনুষ্ঠানে ডাকার একটা বিশেষ তাতপর্য রয়েছে’।

কুণাল- লক্ষণ একই মঞ্চে উপস্থিত হওয়ায় বঙ্গ রাজনীতিতে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তবে কি এবার সবুজ শিবিরে নাম লেখাবেন লক্ষণ শেঠ? অবশ্য এপ্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার আগেই জানিয়েছিলেন, ‘হলদিয়ায় একটি অরাজনৈতিক সভার আয়োজন হয়েছে। সেখানে কাকে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। তবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, তাই যাচ্ছি। কিন্তু লক্ষণ শেঠ তৃণমূলে যোগ দেবেন কিনা আমার জানা নেই’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর