কল্যাণের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে আইনজীবীরা, হাইকোর্ট চত্বরেই দেখাল বিক্ষোভ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুটা কিছুতেই ভাল যাচ্ছেনা তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার তাঁর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন আইনজীবীদের একাংশ।

   

মঙ্গলবার হাই কোর্ট চত্বরে তৃণমূলের লিগ্যাল সেলের আইনজীবীরা “কল্যাণের দাদাগিরি মানব না”, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিপাত যাক” সহ একাধিক পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দীর্ঘদিন দায়িত্বে থেকেও বার অ্যাসোসিয়েশনের জন্য কিছু করেননি।

পাশাপাশি, তাঁরা আরও অভিযোগ করেছেন যে, ওই পদে থেকে তিনি তাঁর ছেলেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন। স্বজনপোষণ ছাড়াও কল্যাণের বিরুদ্ধে অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীদের একাংশ।

এই প্রসঙ্গে একজন জানিয়েছেন যে, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে হাইকোর্টে সিন্ডিকেট রাজ চালিয়েছেন কল্যাণ।’’ এদিকে, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি, নিজের কর্মক্ষেত্রেও বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়ে কল্যাণ যে নতুন করে বিপাকে পড়লেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচি দু’মাস বন্ধ রাখা নিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলার পরেই দলের অন্দরে লাগাতার নিশানা হয়েছেন কল্যাণ। তাঁকে ঘিরে ক্রমশ অসন্তোষ বাড়ছে সবুজ শিবিরে।

পাশাপাশি, দলীয় কর্মীরাও তীব্র কটাক্ষ করছেন কল্যাণকে। কল্যাণ-অভিষেকের সংঘাত প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই দলের একাধিক নেতৃত্ব অভিষেকের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এদিকে, এই ঘটনায় আগে থেকেই কল্যাণ এবং অভিষেক উভয় শিবিরকেই সতর্ক করেছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

Kalyan Banerjee,TMC,High Court,State,Politics

প্রকাশ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ি করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট না করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, সৌগত রায় থেকে, কুণাল ঘোষ, অপরূপা পোদ্দার সহ একে একে অনেকেই প্রকাশ্যে অভিষেকের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। কল্যাণকে কটাক্ষও করেছেন কুণাল এবং অপরূপা।

যদিও, এমতাবস্থায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই জানিয়ে আসছেন যে, দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঊর্ধ্বে তাঁর কাছে কেউ নন। পাশাপাশি, যত দিন মমতা রয়েছেন, তত দিন তিনি থাকবেন বলেও জানিয়েছেন কল্যাণ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর