বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাইকোর্টের (high court) নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে আইনি সমস্যার মুখে তৃণমূল (tmc) সাংসদ নুসরত জাহান (nusrat jahan), পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (srijit mukherjee) ও আরেক তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (mohua moitra)। অষ্টমীতে নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের পূজা মণ্ডপে প্রবেশ করে অঞ্জলি দেন তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান, স্বামী নিখিল জৈন, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা এবং অপর তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
করোনা আবহে হাইকোর্টের তরফে প্রতিটি পুজো প্যান্ডালকেই কনটেনমেন্ট জোন নির্ধারিত করা হয়েছে। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পুজো উদ্যোক্তা ও সদস্য ছাড়া অন্য কারোরই মণ্ডপে প্রবেশের অনুমতি নেই। তা সত্ত্বেও জনপ্রতিনিধি হয়ে নুসরত, মহুয়ার এমন কাজে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন মহলে।
নুসরত, সৃজিত, মহুয়ার বিরুদ্ধে এবার আইনি নোটিস পাঠানোর তোড়জোড় করছেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “সকলেরই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলা উচিত, বিশেষত জনপ্রতিনিধিদের। আমরা সকলের উপরেই নজর রাখছি। নুসরত বা সৃজিত মণ্ডপে অঞ্জলি দিতে পারেন। যদি তাঁরা ক্লাব সদস্য হন। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি নুসরত ওই অঞ্চলের বাসিন্দা নন।”
https://www.instagram.com/p/CGuKo4BBf8l/?igshid=1nqersenqyvya
https://www.instagram.com/p/CGt1jYVBLzU/?igshid=ke1r0k496ewt
অপরদিকে অভিনেত্রীর মুখপাত্রের বক্তব্য, গত তিন বছর ধরেই সুরুচি সঙ্ঘের সদস্য নুসরত জাহান। সদস্যপদ রয়েছে সৃজিতেরও। তবে প্রশ্ন উঠছে সৃজিত পত্নি বাংলাদেশি নাগরিক মিথিলা ও নুসরতের স্বামী নিখিলকে নিয়ে। এ বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও।
প্রসঙ্গত, পুজো শুরু আগেই করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে প্রতিটি পুজো প্যান্ডালকেই কনটেনমেন্ট জোন নির্ধারিত করা হয় হাইকোর্টের তরফে। নির্দেশ দেওয়া হয় পুজো কমিটির উদ্যোক্তা, সদস্য ও ঢাকিরা ছাড়া কেউই প্রবেশ করতে পারবে না মণ্ডপের ভেতরে। বড় পুজোর মণ্ডপে ৪৫ ও ছোট পুজোর মণ্ডপে একসঙ্গে ১৫ জন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।