ষষ্ঠীতেই বিপত্তি! শর্ট সার্কিটের ভয়ে বন্ধ টুইন টাওয়ারের লাইট এবং সাউন্ড, বাকি পুজোয় কী হবে?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আনন্দে মেতে উঠেছে রাজ্যবাসী। বড় বড় শহরাঞ্চল থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম, সর্বত্রই ঠাকুর দেখা নিয়ে এক আলাদা উত্তেজনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর সেই উত্তেজনাকেই আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন থিমের পুজো। এমতাবস্থায়, শহরতলির পুজো প্যান্ডেলগুলির মধ্যে চলতি বছরের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে কল্যাণীর আইটিআই মোড়ের টুইন টাওয়ার (Twin Tower)।

মালয়েশিয়ার (Malaysia) কুয়ালালামপুরের (Kuala Lumpur) অবস্থিত বিখ্যাত টুইন টাওয়ারের আদলেই মণ্ডপ তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছে কল্যাণীর আইটিআই মোড় দুর্গোৎসব কমিটি। ইতিমধ্যেই ১৫০ ফুট উঁচু এই টুইন টাওয়ার দেখতে উপচে পড়ছে ভিড়। এমনকি, মানুষের ঢল সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। আর তার ওপরে বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়েছে।

এমতাবস্থায়, শর্ট সার্কিটের জেরে বোধনের দিনেই বন্ধ হয়ে গেল টুইন টাওয়ার-এর লাইট এবং সাউন্ড। এদিকে, পুজো শুরুর ঠিক প্রাক্কালে এহেন ঘটনায় বাকি পুজোর দিনগুলিতে আদৌ টুইন টাওয়ারে আলো জ্বলবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে অবশ্য পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে যে, প্রবল বৃষ্টিতে শর্ট সার্কিটের জেরে মণ্ডপে যাতে কোনো প্রকার দুর্ঘটনা না ঘটে, সেটি নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যদিও, ষষ্ঠীর রাত বাড়তেই বৃষ্টি থেমে গেলেও চালু করা হয়নি মণ্ডপের লাইট এবং সাউন্ড। আর এই কারণেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দর্শনার্থীদের মধ্যে। যদিও সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। তবে, তাঁরা জানিয়েছেন পুলিশ এবং ইলেকট্রিশিয়ানদের সঙ্গে কথা বলার পর লাইট এবং সাউন্ড চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মূলত, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য দিতে চেয়েছেন তাঁরা।

img 1664458132686 902

এমতাবস্থায়, সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত আদৌ টুইন টাওয়ারে আলোর ঝলকানি দেখা যাবে কি না তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট নয়। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, সপ্তমী এবং অষ্টমীতে কলকাতা ও তার সংলগ্ন অঞ্চলজুড়ে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, করোনা মহামারীর জন্য গত দু’বছর যাবৎ পুজোতে ঘরবন্দি ছিলেন অধিকাংশ মানুষ। এমতাবস্থায়, এই বছর মহামারীর রেশ কমে যাওয়ায় বৃষ্টি মাথায় করেও মানুষ যে ঠাকুর দেখতে বেরোবেন, তা বলাই বাহুল্য।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর