বাংলার মদপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, লকডাউন উঠলে ৩০% দাম বাড়বে মদের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন থেকে আগত মারণ ভাইরাস করোনাভাইরাস (corona virus) বাংলা-সহ পুরো ভারত উদ্বিগ্ন। লকডাউনের পর বাংলায় আবারও বাড়ছে মদের দাম। লকডাউনের কড়াকড়িতে মদের অভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সুরাপায়ীদের। এই বাজারে লুকিয়ে চুরিয়ে কিছু জুটলেও তার দাম আকাশ ছোঁয়া। লকডাউন উঠলে আকণ্ঠ পান করবে তাঁরা সেই আশাতে দিন কাটাছে তাঁরা। সরকারি (Goverment) সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউন (lockdown) উঠলেও মদের দাম কমার কোনও আশা নেই। বরং মদের দাম উলটে বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবগারি দপ্তর।

৩০% বিক্রয় কর চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ দফতর। সোমবার জানিয়েছে সরকারি একটি সূত্র। জানা গিয়েছে, ৭ এপ্রিল এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর ৯ এপ্রিল থেকে নতুন হারে দাম কার্যকরী হয়েছে। এদিন জানায় অর্থ দফতরের সেই সূত্র। “জুলাই ২০১৭ সালে জিএসটি বা অভিন্ন করব্যবস্থা লাগু হওয়ার পর মদ ও বিয়ারের ওপর থেকে বিক্রয় কর তুলে দিয়েছিল সরকার।লাগু করেছিল অতিরিক্ত রাজস্ব কর। এরপর সেই আইনে সংশোধনী এনে রাজ্য সরকার (state goverment) মদ-বিয়ারের এমআরপি’র ওপর ৩০% বিক্রয় কর চাপাল। ৯ এপ্রিল থেকে কার্যকরী হয়েছে সেই দাম।” এদিন বলেছে সেই সূত্র। জানা গিয়েছে, এই সংক্রান্ত নতুন এমআরপি স্টিকার ইতিমধ্যে ছাপানো শুরু হয়েছে। লেভেলিংয়ের কাজ দ্রুত শুরু হবে।

এমনকি, উৎপাদিত মদ ও বিয়ারের মজুতদারির ওপরও বসবে নতুন বর্ধিত দাম। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজেস কর্পোরেশন (West Bengal State Beverage Corporation) বা বেভকো এই মজুতদারির দায়িত্বে। রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন এই সংস্থা রাজ্যের একমাত্র পাইকারী মজুতদার সংস্থা। এদের থেকে মদ আর বিয়ার কিনতে হয় অন এবং অফ এবং সিএস শপের মালিকদের। জানা গিয়েছে, গত অর্থবর্ষে মদ বিক্রি থেকে ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছিল রাজ্য সরকার। এই দামবৃদ্ধির বিষয়ে রাজ্য মদ বিক্রয় সংগঠনের সচিব গৌতম মুখোপাধ্যায় (Gautam Mukherjee) বলেছেন, “এভাবে বিক্রয় কর চাপানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”

এর জেরে একধাক্কায় অনেকটা বাড়বে দাম। যা অনেক  মানুষের কাছে মহার্ঘ হয়ে উঠবে। দাবি করেছেন গৌতম বাবু। “আমাদের পড়শি রাজ্যে শুল্ক অনেক কম।এর জেরে কালবাজারি বাড়বে। আর ভিন রাজ্যে থেকে চোরাপথে মদের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে।” এদিন বলেন গৌতম বাবু।

সুতরাং, লকডাউন (lockdown) উঠলেও মন ভরে মৌতাতের জন্য পকেট থেকে আরও অনেকটাই বেশি খরচ করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্পর্কিত খবর