বদলার হুঁশিয়ারি কল্যাণের গলায়! মদনের দাবি, ‘গলায় বকলস বেঁধে ঘোরাব’

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। তবে এর মাঝেও যে হুঁশিয়ারি এবং পাল্টা হুঙ্কার থামার কোন লক্ষণ নেই, তা একপ্রকার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার সেই সুর শোনা গেল তৃণমূলের একাধিক নেতা নেত্রীদের গলায়। গতকাল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার থেকে শুরু করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) এবং মদন মিত্ররা (Madan Mitra) একের পর এক হুঙ্কারে বিতর্ক আরো বহুগুনে বাড়িয়ে দিলেন। যদিও এর পাল্টা দিয়েছে বিরোধী দলগুলি।

উল্লেখ্য, তৃণমূল কংগ্রেসের শাসন কাল থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। কখনো ‘চড়াম চড়াম ঢাক বাজানো’ হোক কিংবা কখনো ‘গুড় বাতাসা’, খবরের শিরোনামে বিরাজ করেন তিনি। বর্তমানে অবশ্য সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূল নেতা। অপরদিকে, আবার কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটে চলেছে তৃণমূল। এরমাঝেই গতকাল চুঁচুড়ার প্রতিবাদ মিছিল হতে অসিত মজুমদার বলেন, “যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কোনরকম কুৎসা করা হয়, তবে ধোলাই হবে।”

একই সুর শোনা যায় কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রর গলায়। গতকালের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিদির সমালোচনা করা উচিত নয়। তবে এখন মনে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করেছে। মমতাদি, আমি যা বলছি তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আসলে আপনার মানসিকতা ও হৃদয় অনেক বড়। তাই আপনি বলেছিলেন, ‘বদলা নয়, বদল চাই’; তবে আমার মনে হয়, ‘বদলা চাই’ এটাই হওয়া উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো দলগুলি যেভাবে কুৎসা ছড়িয়ে চলেছে, তাতে সেই দিন আমাদের বদলার বদলে বদলা নেওয়ার কথা বলা উচিত ছিল।”

অপরদিকে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র জানান, “দিলীপ ঘোষকে বলে রাখি, বেশি ইট পাটকেল ছুড়তে আসবেন না। পরবর্তীতে আপনার কোমরে বেল্ট পরিয়ে যদি ঘোরানো হয়, তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আমাদের কর্মীদের গায়ে যদি কেউ হাত দেয়, তবে কোমরে ও গলায় বকলস পড়িয়ে ঘোরাবো।”

Kalyan banerjee,cbi,ed,tmc,bjp,cpim,Anubrata mondal,Madan mitra

অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি মাঝে তৃণমূল নেতাদের এহেন হুঙ্কার মাঝে অবশ্য পাল্টে দিয়েছে সিপিএম এবং বিজেপির মত দলগুলি। বিজেপির দাবি, “ওরা মস্তিষ্কের সকল ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে। তবে আমরা বিশেষ কিছু বলবো না, মানুষই এ ক্ষেত্রে জবাব দেবে।” উল্টো দিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলায় যেভাবে দুর্নীতির শাসন চলছে, তার অবসান হওয়া উচিত। আসলে তৃণমূল নেতাদের কাছে যে যত বড় বড় কথা বলবে, বড় বড় পোস্ট করবে, তার তত দর বাড়াবে। সে তত টাকা কামাবে। এটাই ওদের সংস্কৃতি।”

Avatar
Sayan Das

সম্পর্কিত খবর