ধীরে ধীরে খুব মজা আসতো! মাত্র ১৯ বছরের IIT যুবক শেষ করে দিয়েছে ৫০ এর বেশী মেয়ের জীবন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আমাদের জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। সারা বিশ্বের খবর হাতের মুঠোয় পেতে সোশ্যাল মিডিয়া এখন একান্ত জরুরী। কিন্তু এই সোশ্যাল মিডিয়াতেই ঘটে চলেছে একের পর এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। এবার এমনই এক ঘটনা সামনে এলো দিল্লি থেকে। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ৫০ জন শিক্ষক শিক্ষিকার জীবন নরক বানিয়ে দিয়েছিল ১৯ বছরের এক ছাত্র।

প্রায় মাস দুয়েক আগে উত্তর দিল্লির একটি বেসরকারি স্কুল থেকে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি এফআইআর করা হয়। এফআইআর-এ তারা জানান, অনলাইনে কেউ তাদের স্কুলের এক ছাত্রী এবং শিক্ষিকাদের ক্রমাগত বিরক্ত করে চলেছে। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হচ্ছে মর্ফড ছবি, অনলাইন ক্লাস চলাকালীন পাঠানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট। শুধু তাই নয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নম্বর থেকে ফোন করে বিরক্ত করা হচ্ছে শিক্ষিকাদের। অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল।

ঘটনার তদন্তে নেমে ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলার পর প্রায় ৩৩ টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং পাঁচটি ফেক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায় তারা। অবশেষে সমস্ত সূত্র সাজাতে সাজাতে পুলিশ জানতে পারে এই ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে ১৯ বছর বয়সী খড়গপুর আইআইটির এক ছাত্রের। পাটনার বাসিন্দা এই ছাত্রের নাম মহাবীর কুমার। এরপরেই পাটনা থেকে মহাবীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করতে গিয়ে জানা যায় প্রায় বছর তিনেক আগেও ইস্কুলের এক ছাত্রীর সঙ্গে অনলাইনে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মহাবীরের। এসময় তাকে ভালও লেগেছিল তার।

IMG 20211008 185040

কিন্তু এরপর ইনস্টাগ্রামে ফেক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ওই স্কুলেরই অন্যান্য ছাত্রীদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করে সে এবং ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে তার কাছ থেকে অনলাইন ক্লাসের লিঙ্ক এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নম্বর জোগাড় করে মহাবীর। আর তারপরেই শুরু হয় এভাবে ব্ল্যাকমেইলিং। পুলিশ মহাবীরের কাছ থেকে বহু অশ্লীল ভিডিও এবং মর্ফড ছবি উদ্ধার করেছে।.

images 2021 10 08T184933.898

ডিসিপি উত্তর সাগর সিংহ জানিয়েছেন, বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে নিজের গলা বদল করত মহাবীর। একই সঙ্গে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমেই মর্ফড ছবি তৈরি করে সে ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের ব্ল্যাকমেইল করত। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এসব কিছুই টাকার জন্য করেনি মহাবীর। পুলিশ জানিয়েছে কারও কাছেই টাকা দাবি করেনি সে। পুলিশের জেরার মুখে মহাবীর স্বীকার করেছে, শুধুমাত্র মজা করতেই এ ধরনের ভয়ংকর কান্ড ঘটানো শুরু করেছিল সে।

 

Avatar
Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর