বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের একজন টুইটার ব্যবহারকারীকে Y+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা (security) দেওয়া অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়, এমনটাই মত তৃণমূল (tmc) সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (mahua moitra)। কঙ্গনা রানাওয়াতকে (kangana ranawat) কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে Y+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে এবার তীক্ষ্ণ ভাষায় টুইট বাণ ছুঁড়লেন মহুয়া।
অতি সম্প্রতি জানা গিয়েছে, কঙ্গনাকে Y+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। গোটা দেশের গুটিকতক কয়েকজন ভিভিআইপিই এই স্তরের নিরাপত্তা নেন। কঙ্গনাই প্রথম বলিউড তারকা যিনি এই তালিকায় নাম লেখালেন।
এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ‘কুইন’ অভিনেত্রীকে একহাত নিয়ে টুইট করেছেন মহুয়া মৈত্র। টুইটে তিনি লেখেন, ‘বলিউডের একজন টুইটার ব্যবহারকারীকে Y+ নিরাপত্তা কেন দেওয়া হচ্ছে যেখানে ভারতে প্রতি ১ লক্ষ জনসংখ্যা পিছু পুলিস রয়েছে মাত্র একজন এবং সারা বিশ্বে ৭১টি দেশের মধ্যে ভারতের স্থান সর্বনিম্ন পঞ্চম? অর্থের এর থেকে ভাল ব্যবহার আর হতে পারে না মিস্টার হোম মিনিস্টার?’
Why are Bollywood twitterati getting Y+ security when India has a police to population ratio of 138 per lakh & ranks 5th lowest globally among 71 countries?
No better use of resources, Mister Home Minister?— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) September 7, 2020
প্রতিটি বিষয় নিয়েই টুইটে নিজস্ব মতামত জানানো ও তা নিয়ে বিতর্কে জড়ানোয় আলাদা পরিচিতি রয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই কখনো নেপোটিজম কখনো মুভি মাফিয়া আবার কখনো মাদক চক্র নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি।
সুশান্ত মামলায় মুম্বই ও বিহার পুলিসের চাপানউতোরের মাঝে কঙ্গনা বলে বসেন মুম্বই পুলিসের প্রতি তাঁর বিশ্বাস নেই। উদ্বব সরকারের আমলে মুম্বইতে থাকতেও ভরসা পান না তিনি। পালটা শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত লেখেন, ‘আমি অনুরোধ করছি কঙ্গনা যেন মুম্বই ফেরত না আসেন। এটা মুম্বই পুলিসের অপমান ছাড়া আর কিছুই নয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানালাম।’
এরপরেই টুইটে মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করতেই তুঙ্গে ওঠে কঙ্গনা শিবসেনা বিবাদ। সম্প্রতি শিবসেনা-এনসিপি জোটকেও তুলোধনা করেছেন অভিনেত্রী। এরপরেই তাঁকে Y+ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, কেন্দ্রীয় আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী সহ মাত্র কয়েকজনই এই স্তরের নিরাপত্তা পান।