‘মমতার বাড়ি-অফিসে তল্লাশিতে পাওয়া গেল ২ হাজার টাকার একাধিক নোট! ব্যাপারটা কী?

বাংলা হান্ট ডেস্ক : দু’হাজার টাকার নোট বাতিল প্রসঙ্গে এবার মোদি সরকারকে তুলোধোনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন তিনি সাত বছর আগের একটি ঘটনার কথা তুলে আনেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দিয়ে নোটবন্দির কথা ঘোষণা করতেই সবার আগে নিন্দা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়)।

সেই সময় মমতা বলেছিলেন, এই নোটবন্দি মানুষের জীবনে দুর্ভোগ বয়ে আনবে। এবার যখন ২ হাজার টাকার নোট হঠাৎই বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তখনও একই ভাবে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই নোট বাতিলের পিছনে রয়েছে কেন্দ্রের ষড়যন্ত্র, এমন দাবিও করেছেন তিনি।

শনিবার শালবনীতে তৃণমূলের নবজোয়ার সমাবেশে হাজির হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই সভায় তিনি বলেন, ‘২ হাজার টাকার মতো অত বড় নোট কেন বাজারে ছাড়া হয়েছিল সেটাই তো রহস্য! এবার যখন ২ হাজার টাকার নোট বাতিল করল, আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার বাড়ির লোকজনকে বলি, এই দ্যাখ দ্যাখ ২ হাজার টাকার নোট কার কাছে কটা আছে।’ মমতার দাবি, ‘আমি আমার বাড়ি পুরো খুঁজলাম, অফিস খুঁজলাম। দেখলাম চারটে-চারটে আটটা বেরিয়েছে।’ মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, ‘আমরা ছোট নোট ব্যবহার করি। আমরা নোট ব্যবহার করি না।’

Mamata Banerjee,পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,Bangla,Bangla News,Bangla Khabor,Bengali,Bengali News,Bengali Khabor,Trinamool Congress,Narendra Modi,Demonitisation

এর পরই বিজেপি সরকারকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, আপনি কি ২ হাজার টাকা দিয়ে এক আঁটি শাক কিনতে যাবেন। নাকি ২ হাজার টাকার নোট নিয়ে ভাজপার পতাকা কিনতে যাবেন?’ তাঁর কথায়, কেন ২ হাজার টাকার অত নোট ছাপানো হল, আর সেগুলো কোথায় গেল, সবাই জানে। ‘ইশারাই কাফি। দেশকা সবসে বড়া কুমীর কৌন হ্যায়, সবকো পাতা হ্যায়।’

২ হাজার টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকেরই ধারণা ছিল হয়েছে যে নোট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার ও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বোঝানো হয়েছে যে নোট বাতিল হচ্ছে না। শুধু ২ হাজার টাকার নোটের সার্কুলেশন বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যে কেউ চাইলে ব্যাঙ্কে গিয়ে ২ হাজার টাকার নোট বদলে সমপরিমাণ টাকা তুলে নিতেই পারবেন।

দেশে কালো টাকার মজুত বন্ধ করতে নোটবন্দি করা হয়। সেই সময়ে বাতিল করা হয়েছিল ১ হাজার টাকার নোটও। পরিবর্তে ২ হাজার টাকার নোট চালু হয়। কিন্তু তখনই প্রশ্ন উঠে যায় ১ হাজারের পরিবর্তে ২ হাজার টাকার নোট দিয়ে তো আরও বেশি পরিমাণ কালো টাকা মজুত করা যাবে। অর্থাৎ কম জায়গায় বেশি মূল্যের টাকা ধরবে। শুধু তা নয়, দেখা যায়, নোটবন্দির আগে বাজারে যে পরিমাণ নগদ ছিল, তা দু’বছরের মধ্যেই ফিরে এসেছে।

Avatar
Sudipto

সম্পর্কিত খবর