৩১ শে মার্চ অবধি বাংলায় অন্য রাজ্য থেকে ট্রেন প্রবেশ বন্ধ হোক: রেলকে চিঠি দিল মমতা সরকার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নোভেল করোনাভাইরাস (coroana virus) নিয়ে সারা বিশ্ব তোলপাড়। আর এর জেরে বন্ধ হয়েছে প্রায় সব কিছুই। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Prime Minister Narendra Modi) দেশে ‘জনতা কার্ফু’ জারি করেছে। আর এই ‘জনতা কার্ফু’তে স্তব্ধ হতে চলেছে রেল পরিষেবাও। জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নামমাত্র লোকাল ট্রেন চলবে রবিবার। শনিবার মাঝরাত থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দূরপাল্লা,প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন। পরিষেবা বন্ধ থাকবে রবিবার ১০টা পর্যন্ত। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে রাজ্যের বাইরে থেকে আসা সমস্ত ট্রেন বাতিলের অনুরোধ করে রেলমন্ত্রককে চিঠি দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)।

ভিন রাজ্যে কাজ করেন প্রচুর বাঙালি শ্রমিক। করোনাভাইরাসের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সব জায়গাতেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।  তাঁরা রাজ্যে ফিরে আসছেন। বিশেষ করে মুম্বই(mumbai) ও পুণে(pune) স্টেশনে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। শাটডাউনের ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। বিমানবন্দরে তাও নজরদারি করা সম্ভব। কিন্তু ট্রেনে প্রচুর মানুষের মধ্যে কেউ ভাইরাস সংক্রামিত হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সে কারণে রেলকে চিঠি লিখে আপাতত দূরপাল্লার ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখার আর্জি করল নবান্ন। চিঠিতে বলা হয়েছে,”নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে ২২ মার্চ মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে আসা ট্রেনগুলি বন্ধ করা হোক। আপাতত তা কার্যকর থাকুক ৩১ মার্চ পর্যন্ত। জমায়েত নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এব্যাপারে  আপনার তরফে সহযোগিতা দরকার।”

শুক্রবার রেল বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত লোকাল, প্যাসেঞ্জার ও দূরপাল্লার ট্রেন। তবে প্ল্যাটফর্মে ভিড় ও যাত্রী সংখ্যা দেখে বিশেষ লোকাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে সংশ্লিষ্ট জোন। শনিবার রেল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানাল, কোনও ট্রেনই চলবে না। জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে নামমাত্র লোকাল ট্রেন চলবে।  সে কারণে যাত্রীদের একান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর আবেদন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাত ১২টা থেকে রবিবার রাত ১০টা পর্যন্ত কোনও দূরপাল্লা, প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না। রাত ১২টার আগের ট্রেনগুলি ছাড়বে নির্ধারিত সূচি মেনে। যাত্রাপথে থাকা ট্রেনগুলি সচল থাকবে।

 

সম্পর্কিত খবর