‘সন্তানদের জন‍্য ভাল অভিভাবক হতে হবে’, স্বামীর প্রয়াণের পর নতুন উদ‍্যমে কামব‍্যাক করছেন মন্দিরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত জুন মাসে এক ঝড় এসে তছনছ করে দিয়েছে অভিনেত্রী মন্দিরা বেদীর (mandira bedi) জীবন। আচমকা হার্ট আ্যাটাক কেড়ে নেয় মন্দিরার স্বামী রাজ কৌশলের প্রাণ। স্বামীকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। শক্তসমর্থ মন্দিরাকে এমন অবস্থায় দেখে চোখে জল এসেছিল নেটিজেনদেরও। রাজ চলে গিয়েছেন চার মাস হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন মন্দিরা।

এবার অভিনেত্রী মুখ খুললেন নিজের দুই সন্তান বীর ও তারাকে নিয়ে। জানালেন, ছেলে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়েই নতুন করে বাঁচার প্রাণশক্তি পাচ্ছেন তিনি। মন্দিরা বলেন, “আমার লক্ষ‍্য আরো কাজ করার, আরো ভাল করা। আমার ছেলেমেয়েরাই আমার অনুপ্রেরণা। আমি যাই করি, ওদের জন‍্য করি। ওরাই আমার বেঁচে থাকার, আরো ভাল করতে চাওয়ার কারণ। ওদের জন‍্য আমি সাহস পেয়েছি, শক্তি পেয়েছি, আয় করার কারণ খুঁজে পেয়েছি‌। ওদের জন‍্য ভাল অভিভাবক হয়ে উঠতে হবে আমাকে।”

নিজের কেরিয়ারের উত্থান পতন নিয়েও এদিন খোলাখুলি কথা বলেন মন্দিরা। তিনি জানান, কেরিয়ারে অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। অনেক কঠিন সময় এসেছে। কিন্তু মানুষের স্মৃতিশক্তি খুব ক্ষীণ। শেষ কাজ দিয়েই মানুষ মনে রাখে। মন্দিরা বলেন, ভাগ‍্যক্রমে তিনি অনেক কাজ পেয়েছেন। কেরিয়ারের এই উত্থানের সময়টা সত‍্যিই খুব ভাল। কিন্তু খারাপ সময় ভাল সময়টার গুরুত্ব বুঝতে শেখায়। মন্দিরার মতে, মানুষ সাফল‍্যের তুলনায় ব‍্যর্থতার থেকে বেশি শিক্ষা পায়।

রাজের মৃত‍্যুর এক মাসের মাথায়ই জন্মদিন ছিল মন্দিরা ও রাজের ছোট্ট মেয়ে তারার। এক বছর আগে ২৮ জুলাই তারাকে দত্তক নিয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। তাই এই দিনটাকেই মেয়ের জন্মদিন হিসেবে পালন করেন তাঁরা। তারা তাঁদের জীবনে আসার পর কেটে গিয়েছে এক বছর। এ বাড়িতে এটাই ছিল তার প্রথম জন্মদিন।

অনেক বড় করেই উদযাপনের কথা ছিল। কথা ছিল চারজনে মিলে তারার জন্মদিন সেলিব্রেট করার, কিন্তু রাজ আর নেই। কষ্ট মনে চেপে রেখেও মন্দিরা মেয়ের জন্মদিন পালন করেছেন। ছোট্ট মেয়েটাকে কষ্ট পেতে দিতে চাননি তিনি। রাজ মন্দিরার ছেলেকেও বোনের জন্মদিনে আনন্দ করতে দেখা গিয়েছিল।