শহীদ কর্নেল সন্তোষবাবুর স্ত্রী নিযুক্ত হলেন ডেপুটি কলেক্টর পদে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ১৫ই জুন ভারত-চীন (india-china) সংঘাত হয়, যেখানে শহিদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনা। বি সন্তোষ (৩৭) শহিদ হয়েছেন এই গালোয়ান সংঘর্ষে।পারলেন না আর তেলাঙ্গানার সুরিয়াপেটের সশরীরে আসতে, এল তাঁর নিথর দেহ। তিনি কর্নেল পদে নিযুক্ত ছিলেন।

   

তেলঙ্গানার সিএম চন্দ্রশেখর রাও কর্নেলের স্ত্রীকে ডেপুটি কালেক্টর পদে নিযুক্ত করলেন। তাকে সূর্যাপেট জেলায় পোস্ট করা হবে। মনে কষ্ট চোখে জল নিয়ে যোগদান করলেন এই পদে।

কর্নেল সন্তোষ বাবু ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। এলসির লাইনে চীনের সাথে সংঘর্ষে তিনি শহীদ হয়েছেন। শহীদ কর্নেলের পুরো নাম ছিল বিকুমল্লা ঘোষিত। তিনি ২০০৪ সালে কমিশন লাভ করেন। তাঁর প্রথম পোস্টিং ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনে সৈনিক স্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনাও করেছিলেন। তিনি প্রথম থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে আগ্রহী ছিলেন। কর্নেল সন্তোষ বাবুর বাবা বি উপেন্দ্র একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মী।

পূর্ব লাদাখের ইন্দো-চীন বাহিনীর মধ্যে অচলাবস্থার মধ্যে গালভান উপত্যকায় দুই বাহিনীর মধ্যে একটি সংঘাত হয়েছিল। এতে ভারতীয় কমান্ডিং অফিসার-সহ ২০ জন সেনা শহীদ হন। একই সময়ে, চীনে যাওয়া সৈন্যদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, সুরিয়াপেটের বাড়িতে বসে মঙ্গলবার সকাল থেকেই গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের খবর জানতে পারেন শহিদ কর্নেলের বাবা-মা। শহিদ জওয়ানদের নাম উল্লেখ না করায় খুব একটা উদ্বিগ্ন ছিলেন না তাঁরা। কিন্তু দুপুর দুটো নাগাদ বৌমার ফোনে এক লহমায় বদলে যায় বাবা বি উপেন্দ্র (৬৩) এবং মঞ্জুলাদেবীর (৫৮) দুনিয়া।

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক বি উপেন্দ্র বলেন, ‘টেলিভিশনে ভারতীয় এবং চিনা সেনার মধ্যে সীমান্তে সংঘর্ষের খবর দেখছিলাম। তবে কোনও নাম উল্লেখ না করা হওয়ায়, আমরা কখনও ভাবিনি নিহতদের মধ্যে আমাদের ছেলেও থাকবে। যখন আমরা দিল্লি থেকে বৌমার ফোন পাই, তখন বুঝতে পারি, আমাদের ছেলে শহিদ হয়েছে।’

সম্পর্কিত খবর