তেল ইস্যুতে মাস্টারস্ট্রোক ভারত: মজুত রয়েছে বিশাল তেলের ভান্ডার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সৌদি আরব (Saudi Arabia) এবং রাশিয়ার মধ্যের তেলের (Oil) বিষয় যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। বিশ্বের এই দুই তেলের খনি সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে সংঘর্শ শুরু হয়েছিল। সেখানে তেলের উৎপাদন অপেক্ষা বিক্রি কম হওয়ায় তেলের দাম হ্রাস পাচ্ছিল। ফলে ভারতের মুনফা লাভের বিষয় প্রকাশ পাচ্ছিল। বর্তমানে আমেরিকার হস্তক্ষেপে এই দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নেয়। যার ফলে তেলের দাম আবার বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ভারতের কি লাভ হবে তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন।

   

এই প্রসঙ্গে মর্গান স্ট্যালি এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাংক মিলিতভাবে এই সমস্যার সমাধান করেন। তারা জানান, এখনএই তেলের যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও কিন্তু তেলের দাম খুব একটা বৃদ্ধি পাবে না। তার প্রথম কারণ, সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলারের তেলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ভারতই ১০০-১৫০ মিলিয়ন ডলারের তেল কিনে নেয়। তাই এই তেলের দাম খুব একটা বৃদ্ধি পাবে না।

আবার পরবর্তীতে  ৪০০-৫০০ ব্যারেলের ছাড় দিলেও এই দামের কোন পরিবর্তন হবে না। কারণ করোনা (COVID-19) সংকটের মধ্যে এখন চীন, ভারত এবং আমেরিকা কোন দেশেরই তেলের তেমন প্রয়োজন নেই। লকডাউন থাকার কারণে এই দেশগুলো এখন তেল নিচ্ছে না। এছাড়াও ভারত এবং চীনে আগে থাকতেই বেশ পরিমাণে তেল মজুত রয়েছে। সংকটের আচ করতে পেরেই ভারত অনেক সস্তায় তেল কিনে তা মজুত করতে শুরু করে দেয়। পড়ে তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও, এই তেলের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করা যাবে। তাই এখন তেলের দামে ছাড় দিলেই এই সব দেশগুলো এখন তেল কিনতে চাইবে না।

বিশ্বে তেলের চাহিদা এখন অনেক হ্রাস পেয়েছে। দাম কমিয়ে দিলেও তেলের চাহিদা এখন অনেক কম। ভারতের অন্তর্বর্তী সংস্থা বছরে ২০ আরব ডলার তেলে রপ্তানি করে। তাই এখন তেলের দাম বৃদ্ধি পেলেও ভারত এতে মুনফা লাভই করতে পারবে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর