৫ একর জমি নেওয়া উচিত নয়, মুসলিমদের সাথে অন্যায় হয়েছে, বললেন মৌলানা আরশাদ মাদানী।

অযোধ্যা মামলার রায় আসার আগে প্রত্যেক ব্যাক্তির মুখে এক কথা ছিল। সকলেই বলেছিলেন রাম মন্দির নিয়ে আদালত যা রায় দেবে সেটাই মাথা পেতে নেব। এখন আদালত বিতর্কিত স্থানে রাম মন্দির নির্মাণ করার কথা বলেছে। একইসাথে মুসলিমদের জন্য আলাদা কোনো স্থানে ৫ একর জমির প্রদান করতে বলেছে। আদালতের ঐতিহাসিক রায় চলে আসার পরেও কিছু কট্টরপন্থী বিষ উগরে দিতে নেমে পড়েছে। আদালতের রায় আসার পরই AIMIM এর নেতা আসাউদ্দিন ওয়েসী বিরোধে নেমে পড়েছিলেন।

 

কিছু মুসলিম ধর্মগুরুও আদালতের রায় এর বিরোধ করছেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের বিষয়ে, এখন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান বলেছেন যে, অযোধ্যায় যে জমি দেওয়া হচ্ছে তা মুসলিম সমাজের নেওয়া উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে তিনি এখন দোষ খুঁজে পাচ্ছেন। তবে শনিবার আবেদনের দাখিল প্রত্যাখ্যানকারী সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। তবে বোর্ড ইতিমধ্যে জানিয়েছিল যে পাঁচ বিচারকের বেঞ্চ রায় দেবে সেটা গ্রহণ করা হবে। তবে এখন বোর্ডের একটি অংশ জমি না নেওয়ার পক্ষে, অন্য পক্ষ বলছে যে এটির মধ্যে একটি হাসপাতাল এবং স্কুল তৈরি করা উচিত। তবে ২৬ নভেম্বর বোর্ডের সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জামিয়াত নেতা মৌলানা মাদানী বলেছেন, মসজিদে মূর্তি রেখে দেওয়া হয়েছিল এটা আদালত মেনে নিয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এক পক্ষের হয়ে রায় দেওয়া হয়েছে। মাদানী বলেন, আদালত এটাও বলেছে যে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়নি। মাদানী সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন ৫ একর জমি যেন না নেওয়া হয়। আরশাদ মাদানীর আগে আসাউদ্দিন ওয়েসী বলেছিলেন, মুসলিমদের ওই ৫ একর জমি নেওয়া উচিত নয়। অবশ্য আসাউদ্দিন বা মাদানী যে বার্তা দিচ্ছেন প্রত্যেকটা মুসলিমদের উস্কানি দেওয়ার জন্য বলে দাবি করা হচ্ছে।

 

কারণ ASI রিপোর্টে বলা হয়েছে যে মসজিদের নীচে ভগবান শ্রী রামের মন্দির রয়েছে। আদালত ASI রিপোর্টকে স্বীকৃতি দিয়ে অযোধ্যা মামলার রায় দিয়েছে। রামজন্মভূমির জন্য আদালত ASI রিপোর্টকে বৈজ্ঞানিক প্রমান ও তথ্য হিসেবে ধরেছে।  এমনকি আদালত নিজেই এটা জানিয়েছেন যে ASI রিপোর্ট ছাড়া রায় দেওয়া কঠিন বিষয় ছিল।

সম্পর্কিত খবর