বিশ্বের এই ১০ টি খাওয়ার খেতে গেলে “ভিখারি” হতে পারেন কোটিপতিরাও, রইল তালিকা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই থাকেন যারা খেতে অত্যন্ত পছন্দ করেন। কেউ কেউ তো আবার রীতিমতো টাকা জমিয়েই জনপ্রিয় সব পদ গুলি একবার হলেও চেখে দেখতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এমনকি, ইতিমধ্যেই বিশ্বে এমন কিছু পদ রয়েছে যেগুলো কিনতে গেলে আপনাকে খরচ করতে হবে কয়েক লক্ষ টাকা। হ্যাঁ শুনতে অদ্ভুত এবং অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা কিন্তু একদমই সত্যি। এমতাবস্থায়, বর্তমান প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সামনে এমন কিছু খাওয়ারের তালিকা উপস্থাপিত করব যেগুলি কিনতে হলে কোটিপতিরাও রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান। চলুন, শুরু করা যাক আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদন।

১. আলমাস ক্যাভিয়ার (Almas Caviar): ক্যাভিয়ার হল মূলত মাছের ডিম। এগুলি বেশিরভাগ দেশেই পাওয়া যায়। তবে এই ডিমগুলির মধ্যে সবচেয়ে দামি ডিমকে আলমাস ক্যাভিয়ার বলা হয়। এটি ইরানের কাছে কাস্পিয়ান এবং কৃষ্ণ সাগরে পাওয়া যায়। অত্যন্ত বিপন্ন মাছের এই ডিম খুব কমই বৈধভাবে বিক্রি করা যায়। মূলত, এগুলো বিক্রি হয় ২৪ ক্যারেট সোনার বাক্সে। এমতাবস্থায়, আপনি যদি এটির স্বাদ নিতে চান তবে এর জন্য আপনাকে ভারতীয় মুদ্রায় ৭৬,৫৭৫ টাকা খরচ করতে হবে। পাশাপাশি, এর প্রতি কেজির দাম হল ২৫ লক্ষ টাকা।

Expensive Food,World,India,International,Money,Rupees,bluefin tuna,Almas Caviar,Ayam Cemani Black Chicken,Saffron,Matsutake Mushrooms,Kopi Luwak Coffee,Moose Cheese,Crore,Indian Rupee,Mukesh Ambani,Food

২. জাফরান বা কেশর: মধ্যপ্রাচ্যে একে “লাল সোনা” বলা হয়। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মশলার মধ্যে অন্যতম। প্রতি কেজিতে এর দাম প্রায় ৭ লক্ষ টাকা। মূলত, এটি উৎপাদনের জন্য অনেক ধৈর্য্য এবং বহু ঘন্টার কাজের প্রয়োজন হয়। আর এভাবেই প্রতিটি ফুল থেকে এগুলি সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ১৫০ টি ফুল থেকে মাত্র ১ গ্রাম জাফরান বের করা যায়।

৩. আয়াম সেমানি ব্ল্যাক চিকেন (Ayam Cemani Black Chicken): মূলত এই মুরগি “ব্ল্যাক চিকেন” নামেও পরিচিত। এটি ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে। এর রক্ত ​​ছাড়া সবকিছুই প্রায় কালো। এই বিরল জাতের মুরগি প্রতি জোড়া ৩.৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়।

৪. White Truffles: একে ইটালিয়ান হোয়াইট ট্রাফল বা পিডমন্ট হোয়াইট ট্রাফলও বলা হয়। এটি হল ট্রাফলের সবচেয়ে সাধারণ জাত। যার দাম প্রতি কেজিতে ১.৫ লক্ষ টাকা। মূলত, উত্তর ইতালি থেকে উদ্ভূত এই ট্রাফলের বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট পরিবেশের প্রয়োজন হয়।

৫. Matsutake Mushrooms: এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি মাশরুমগুলির মধ্যে একটি। এগুলি জাপানের তামবা অঞ্চলে জন্মায়। শরতের সূচনার সাথে যুক্ত এই মাশরুম জাপানিদের খাদ্যের একটি অন্যতম প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়। আপনি যদি এটি ১ পাউন্ডের ওজনে কিনতে যান তবে এর জন্য আপনাকে ৭৫,০০০ থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে।

Expensive Food,World,India,International,Money,Rupees,bluefin tuna,Almas Caviar,Ayam Cemani Black Chicken,Saffron,Matsutake Mushrooms,Kopi Luwak Coffee,Moose Cheese,Crore,Indian Rupee,Mukesh Ambani,Food

৬. Kopi Luwak Coffee: বিশ্বের দুর্লভ এবং সবচেয়ে ব্যয়বহুল কফি তৈরি করা হয় সিভেট বিড়ালের মল থেকে সংগৃহীত কফি বিনস থেকে। সিভেট বিড়াল এশিয়ার সামান্য কিছু অংশে পাওয়া যায়। এই বিড়াল মূলত, কফি বেরি খায়। শ্রমিকরা তাদের মূল্যবান মল সংগ্রহ করার পরে ধুয়ে এবং শুকিয়ে রোস্ট করে। এগুলি প্রতি পাউন্ডে ৪৪,০০০ টাকায় বিক্রি হয়।

৭. বার্ডস নেস্ট স্যুপ: চিনে এই খাওয়ার বেশ জনপ্রিয় এবং এটি অত্যন্ত দামি একটি পদ। এর প্রধান উপাদান হল সুইফলেট পাখির বাসা, যা সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাওয়া যায়। এটি প্রতি কেজিতে ৪০,০০০ টাকায় বিক্রি হয়।

৮. Moose Cheese: সুইডেনের মুজ হাউসের ক্ষেত থেকে প্রাপ্ত এই পনিরটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাওয়ারের তালিকায় রয়েছে। আপনি আক্ষরিক অর্থে এটি বিশ্বের আর অন্য কোথাও খুঁজে পাবেন না। প্রতিদিন ৫ লিটার দুধ থেকে এই পনির তৈরি হয়। এর দাম প্রতি পাউন্ড হিসেবে ৩৭,০০০ টাকা।

৯. Yubari King Melon: এই তরমুজ তার মিষ্টতার কারণে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং দামিও বটে। এই তরমুজের দাম ১৪ লক্ষ টাকা। এটি কেনার জন্য নিলাম করা হয়। সম্প্রতি ১৪,০৮,৯৯১ টাকায় এই তরমুজটি কিনেছেন এক ব্যবসায়ী।

Expensive Food,World,India,International,Money,Rupees,bluefin tuna,Almas Caviar,Ayam Cemani Black Chicken,Saffron,Matsutake Mushrooms,Kopi Luwak Coffee,Moose Cheese,Crore,Indian Rupee,Mukesh Ambani,Food

১০. Bluefin Tuna: এই ব্লুফিন টুনা মাছ হল একটি বিপন্ন প্রজাতির মাছ। যা ৪০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। টুনা সাধারণত অন্যান্য মাছের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে, জাপানি ব্যবসায়ী কিয়োশি কিমুরা প্রায় ২৪ কোটি টাকায় ২৭৮ কেজি টুনা মাছ কিনেছিলেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর