বন্ধ হয়ে যেতে পারে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা, ভয়ংকর সংকটের মুখে পৃথিবী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ইতিমধ্যেই পৃথিবীতে (earth) অতিমারির চেহারা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই আরেক মারাত্মক খবর শোনালেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ও তাঁদের তোলা কিছু স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রাথমিক ভাবে যার ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মোবাইল, ইন্টারনেট ও স্যাটেলাইট পরিষেবা।

গোটা পৃথিবী জুড়েই আছে এক ধরনের চৌম্বক ক্ষেত্র যা পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ থেকে শুরু করে মহাশূন্য পর্যন্ত বিস্তৃত। ভূপৃষ্ঠে এর আয়তন ২৫ থেকে ৬৫ মাইক্রোটেসলা ৷ এটি আমাদের মহাজাগতিক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। কখনো যদি এই চৌম্বক ক্ষেত্র শক্তি হারায় তবে এই গ্রহে মানুষ কেন কোনও প্রাণের অস্তিত্ব থাকাটাই দুঃসাধ্য হবে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের চৌম্বক ক্ষেত্র ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে। যা কিনা বেশ দুশ্চিন্তার৷

পাশাপাশি, এরই মধ্যে শুরু হয়েছে সোলার মিনিমাম। ১৮১৬ সালে নাকি ছিল না কোনো গ্রীষ্মকাল, আবার সেই দিন ফিরে আসতে চলেছে এমনিটাই জানাচ্ছে বিজ্ঞানী মহল। এই অবস্থাকে বলা হয়, ‘সোলার মিনিমাম’। এর কুপ্রভাব পড়বে পৃথিবীতে। কসমিক রে সূর্য থেকে বের হওয়ার ফলে মহাকাশে প্রভাব পড়ার পাশাপাশি প্রভাব পড়বে পৃথিবীর আবহাওয়াতেও। মহাকাশচারীদের ক্ষতি হবে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি হবে, ভূমিকম্প হবে, বজ্রপাতের সংখ্যাও বেড়ে যাবে। তাপমাত্রা কমে ২ ডিগ্রির ও বেশী। প্রভাব পড়বে কৃষিতেও। গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলে তেমন ভাবে এর প্রভাব বোঝা না গেলেও শীতপ্রধান অঞ্চলে এই তাপমাত্রা কমে যাওয়া বেশ সমস্যায় ফেলবে।

সোলার মিনিমাম হল একটি সৌরচক্র, যা সাধারণ ভাবে ১১ বছর থাকে। এই সময়ে সানস্পট ও সানফ্লেয়ার অত্যন্ত কমে যায়, এমনকি মাঝে মাঝে বেশ কিছুদিনের জন্য গায়েবও হয়ে যায়। ১২ মাসের গড় সানস্পটের ক্রিয়াকলাপ পর্যবেক্ষণ করে সোলার মিনিমাম দিন হিসেব করা হয়। সুতরাং ঐ দিনটি মোটামুটি ৬ মাসে একদিন ধার্য্য হয়। এই সোলার মিনিমাম জলবায়ুর পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর