রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলা করছেন মোদী-মমতা, ঝুঁকে দিচ্ছেন সমস্থ শক্তি

বাংলা হান্ট ডেস্ক : চীন থেকে আসা করোনাভাইরাস যা মহামারীর মত ছড়িয়ে পড়েছে প্রত্যেকটি দেশে। করোনা ভাইরাসের থাবায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও ঢুকে গিয়েছে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক। মারা গিয়েছে সাতজন।

করণা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে দেশ ও দশের স্বার্থে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাজ প্রশংসনীয়। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে আজ গোটা দেশজুড়ে জনতা কারফিউ পালন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।নিজেদের রক্ষার্থেই আজ সারা দিন সকলকে বাড়িতে থাকার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সমস্ত রাজনীতি ভুলে প্রধানমন্ত্রীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার কথা বলা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। আজ রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা সহ পৌরশহর গুলিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

IMG 20200322 222540

আজ দেখা গেল চেনা দেশের অচেনা দৃশ্য। বরাবরই সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা বা বিপরীত কোনো রাজনৈতিক দলের নির্দেশ অমান্য করার মত চিত্রই এতদিন ধরা পড়েছে কিন্তু দেখা গেল করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অন্যান্য দেশগুলির মতই সতর্ক ভারত। আজ গোটা দেশজুড়ে পালন করা হয়েছে জনতা কারফিউ। এই মহামারির সংক্রমণ এড়াতে সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভুলে হাতে হাত রেখে কাজ করছে গোটা দেশবাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi) ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata Banerjee) দুজনেই করোনা ভাইরাসকে ছড়িয়ে পড়া থেকে আটকানোর জন্য সমস্থ শক্তি ঝুঁকে দিয়েছেন।

অবাক করা ব্যাপার হল কাল অবধিও যারা প্রধানমন্ত্রীর হাত তালি বাজানো বা থালা-বাসন বাজানোর বিষয়টিকে নিয়ে খিল্লি করছিলেন তারা সহ ৮৫% ভারতবাসী বিকেল পাঁচটার সময় ডাক্তার, নার্স, পুলিশকর্মী, মিডিয়াকর্মী, ও অন্যান্য জরুরি অবস্থার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ধন্যবাদ জানাতে হাততালি ও থালা-বাসন বাজান। গোটা দেশ ও রাজ্য যদি এইভাবে নিজের ও দেশের কথা ভেবে সচেতন থাকে তাহলে আগামী দিন ভারত নিশ্চয়ই করোনা মুক্ত হবে বলে আশাবাদী বিশেষজ্ঞমহল।

সম্পর্কিত খবর