নিমেষে জীবানুমুক্ত হবে মোবাইল থেকে মানিব্যাগ, অভিনব আবিষ্কার বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। এই মুহুর্তে জীবানুমুক্ত জীবন যাপন করা ছাড়া কোনো উপায়ই নেই বিশ্ববাসীর। কিন্তু ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট ও অন্যান্য অনেক জিনিসই অ্যালকোহলজাত স্যানিটাইজার দিয়ে বা সাবানজল দিয়ে ধোয়া সম্ভব নয়। মোবাইল, মানিব্যাগের মত জিনিসপত্র স্যানিটাইজড করতে এবার অভিনব এক আবিষ্কার করে ফেললেন বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার।

শান্তনু ভৌমিক নামের ঐ ইঞ্জিনিয়ার অতিবেগুনী রশ্মি দিয়ে মোবাইল, মানিব্যাগ, চশমার মত বস্তুকে জীবানুমুক্ত করতে বানিয়ে ফেলেছেন পোর্টেবল যন্ত্র। জানা যাচ্ছে কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে এসে যাবে যন্ত্রটি। দামও হবে সাধ্যের মধ্যেই।

শান্তনু পেশায় ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ার। কাজ করেছেন দেশের অনেক বড় শহরের নামী দামি সংস্থায়। লকডাউনে বাড়ি বসে থাকতে থাকতেই এই অভিনব ভাবনা তার মাথায় আসে। এই মুহুর্তে ছোট পোর্টেবল যন্ত্র তৈরি করলেও ভবিষ্যতে আরো বড় মাপে এই যন্ত্রটি তৈরি করার ইচ্ছে আছে তার। যাতে খুব সহজেই বড় অফিস, স্কুল, কলেজের মত স্থানে এই যন্ত্র দিয়ে জীবানু মুক্ত করা যায়।

এর আগে, বোম্বে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি-বি) এর একটি দল একটি “ডিজিটাল স্টেথোস্কোপ” তৈরি করেছে যা দূর থেকে হৃদস্পন্দন শুনতে এবং তাদের রেকর্ড করতে পারে।জানা যাচ্ছে, রোগীর বুক থেকে প্রাপ্ত ডেটা বা শব্দ বেতারভাবে ব্লুটুথ ব্যবহার করে চিকিত্সকের কাছে প্রেরণ করা সম্ভব। যার ফলে চিকিৎসকদের রোগীর কাছে যেতে হবে না, কমবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

পাশাপাশি করোনা ঠেকাতে পদক্ষেপ নিল গুয়াহাটি আই আই টি। তারা তৈরি করে ফেলেছে এমন এক যন্ত্র যা মাত্র ৩০ সেকেন্ডে জীবানু মুক্ত করে ফেলবে বিশাল এলাকা। জানা যাচ্ছে, সরকারি নির্দেশে এই যন্ত্র বানানো হয়েছে যা খুব কম সময়ে একটা বিরাট অংশ জীবানুমুক্ত করতে পারবে৷ পাশাপাশি তারা রোগিদের কাছে খাবার ও অন্যান্য জিনিস পৌঁছে দেওয়ার জন্য রোবট তৈরি করার চিন্তা ভাবনা করছে।

সম্পর্কিত খবর