মুসলিম হয়েও কেন মৌসম হারলো? কড়া প্রশ্নঃ মমতা ব্যানার্জীর

মৌসম কেন লোকসভা ভোটে হারল? মালদার কর্মী বৈঠকে ক্ষুব্ধ মমতার প্রশ্ন।  তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata bandyopadhya )। মৌসম নূরের হেরে যাওয়া এদিন ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। যতদিন না ক্ষ্মতায় আসছি ততদিন মালদায় নেতাদের সঙ্গে মিটিং করব না- মুখ্যমন্ত্রী।

উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার দুপুরে পুরাতন মালদাহের ছোট সুজাপুর মাঠে বুথভিত্তিক কর্মীসভা করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, আমি বড় নেতা না ও বড় নেতা সেটা লড়াইয়ে চলে না। ভোটের প্রচারে এখানে এসে দেখি আমাদের সভায় লক্ষ লক্ষ লোক এসেছে। কিন্তু ভোটগুলো কোথায় যায়? এর কারণ যে আমি একেবারেই জানি না তা নয়৷ সেটা আমি জানি৷ আমি চাইলে ১০জন নেতার সঙ্গে মিটিং করতে পারতাম কিন্তু করব না৷ যতদিন না মালদা পুনরুদ্ধার হবে ততদিন কোনও আলাদা মিটিং করব না৷

mamtabanerjee 770x433 0

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ছেড়ে মালদা উত্তর কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী হন মৌসম বেনজির নূর। কিন্তু সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া খগেন মুর্মুর কাছে হেরে যান তিনি। যা নিয়ে এদিন মমতা প্রশ্ন তোলেন, মালদায় কি হিন্দু-মুসলিমের ভেদাভেদ আছে? মমতার কথায়, ও তো জাতপাতের ভেদাভেদ মানে না, কিন্তু তারপরেও মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্র থেকে কেন মৌসম হারল? তাঁর কথায়, লোকসভা ভোটের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মৌসম। যে কাজ করল, ছুটে বেড়াল, সে হেরে গেল। আর যে কাজ না করে বসে থাকে, সে দিল্লি চলে গেল? মমতার কথায়, কিছু কিছু কারণ আমি অবশ্যই জানি। এরপর কংগ্রেস ও বিজেপির গোপন বোঝাপড়ার দিকে নিশানা করেন মমতা।

মালদা তৃণমূল নেতৃত্বের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে নেতাদের ভর্ৎসনা করেন তৃণমূল নেত্রী। কে কত বড় নেতা তা প্রমাণ না করে দলের জন্য কাজ করার বার্তা দেন কর্মীদের। এরপরেই তাঁর ঘোষণা, এখানে একজনের উপর দায়িত্ব ছাড়লে হবে না। পুরসভার ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েত ধরে ধরে সংগঠনের দায়িত্ব ভাগ করে দেন মমতা। প্রাক্তন জেলা সভানেত্রী সাবিত্রী মিত্রের নাম করে মমতা বলেন, সাবিত্রী, তুমি একদম ঝগড়া করবে না। তুমি শুধু মানিকচক নিয়ে থাকবে।
মালদার সবকটি বিধানসভা আসন জেতার চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, আপনাদের প্রচুর সাহায্য করেছি। আর কিছু চাইবেন না। এ বার আপনাদের কাছে আমি চাইব।

সম্পর্কিত খবর