তিরূপতি মন্দিরে ১.০২ কোটি টাকা দান করলেন মুসলিম দম্পতি! এর আগে দিয়েছেন ৩৫ লক্ষের ফ্রিজ

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক ধর্মীয় উষ্কানীমূলক ঘটনার খবর সামনে আসছে ঠিক সেই আবহেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চেন্নাইয়ের (Chennai) এক মুসলিম দম্পতি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) তিরুমালায় (Tirumala) অবস্থিত ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের বিখ্যাত তিরুপতি বালাজি মন্দিরে ১.০২ কোটি টাকা দান করেছেন। ব্যবসায়ী আবদুল ঘানি ও তাঁর স্ত্রী সুবিনা বানো তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের (Tirumala Tirupati Devasthanams) নামে এই অর্থ প্রদান করেছেন।

   

চেক মারফত করেছেন অর্থ দান: এই প্রসঙ্গে ANI-এর খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই মুসলিম দম্পতির এক কোটি টাকারও বেশি অনুদানের মধ্যে ৮৭ লক্ষ টাকা পদ্মাবতী রেস্ট হাউসের আসবাবপত্র এবং বাসনপত্রের জন্য ব্যবহার করা হবে। যাতে ভক্তদের জন্য আরও ভালোভাবে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা যায়।

পাশাপাশি, অবশিষ্ট ১৫ লক্ষ টাকা ডিমান্ড ড্রাফট (DD) আকারে এসভি আন্না প্রসাদম ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তরিত করা হবে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এসভি আন্না প্রসাদম ট্রাস্ট প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তদের বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করে। এমতাবস্থায়, ওই মুসলিম পরিবার তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এভি ধর্ম রেড্ডির সাথে দেখা করেন এবং একটি চেকের মাধ্যমে তাঁর কাছে ১.০২ কোটি টাকার অনুদানটি হস্তান্তর করেন। পাশাপাশি, ওই মুসলিম দম্পতিকে প্রসাদও দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যেই দিয়েছেন ৩৫ লক্ষের ফ্রিজ: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ব্যবসায়ী আবদুল ঘানি যে এই প্রথমবার মন্দিরে দান করলেন এমনটা কিন্তু না। বরং, এর আগেও ওই মুসলিম দম্পতি তিরুপতি বালাজি মন্দিরে সবজিগুলিকে পচনের হাত থেকে বাঁচাতে ৩৫ লক্ষ টাকার একটি ফ্রিজ দান করেছিলেন। পাশাপাশি, ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়, মন্দির চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করার জন্য একটি ট্রাক্টর মাউন্টেড স্প্রেয়ারও দান করেন তাঁরা। এদিকে, সম্প্রতি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানিও তিরুমালা মন্দিরে দেড় কোটি টাকা দান করেছেন।

বিখ্যাত মন্দির: দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত তিরুপতি বালাজি মন্দিরটি অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় অবস্থিত। এই মন্দিরটিকে অন্যতম ধনী মন্দির হিসাবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এখানে প্রায়ই কোটি কোটি টাকা অনুদানের আকারে আসে। এর পাশাপাশি, ভক্তদের কাছ থেকে প্রসাদও আসে প্রচুর। মনে করা হয় যে, যে ব্যক্তি মন থেকে সমস্ত পাপ ও অশুভ চিন্তা ত্যাগ করে এই মন্দিরটি দর্শন করে যান, তাঁর জীবনে সমস্ত দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটে যায়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর