বাংলা হান্ট ডেস্ক : দিল্লি হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder Case) ক্ষত এখনও পুরোপুরি সেরে ওঠেনি, এরই মধ্যে উত্তরাখণ্ডে একই রকম অত্যাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। দেরাদুনে এক ব্যক্তির সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকতেন এক তরুণী। তিনিই প্রেমিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনেন। ওই তরুণী পুলিসকে জানান, তাঁর প্রমিক নওশাদ তাঁকে একাধিক বার ধর্ষণ করে এবং পরপর দু’বার তাঁকে গর্ভপাত করাতে বাধ্য করে। শুধু তাই নয়, ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের জন্যও চাপ দেয় ওই ব্যক্তি। এরই সঙ্গে উঠে আসছে লাভ জিহাদের (Love Jihad) ছায়াও।
পুলিস সূত্রে খবর, দিল্লির বাসিন্দা ওই তরুণী প্রায় দেড় বছর ধরে দেরাদুন এলাকায় প্রেমিক নওশাদ কুরেশির সঙ্গে থাকতেন। তরুণী গত বৃহস্পতিবার প্যটেল নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়, ওই মহিলা নওশাদকে একাধিকবার বিয়ের কথা বললেও সে রাজি হয় নি। শুধু তাই নয়, বিয়ে করতে হলে ওই তরুণীকে ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে বলে দাবি করে অভিযুক্ত।
অত্যাচারের এখানেই শেষ নয়। তরুণী জানান, নওশাদের ভাই শেহনাজ এবং বাবা জাহির কুরেশিও তাঁর উপর অত্যাচার করেন। নওশাদ একাধিক বার তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি। এক সময় গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই মহিলা। পরপর দু’বার নওশাদ জোর করে তাঁকে গর্ভপাত করান। শুধু তাই নয়, তরুণীকে জোর করা হয় ধর্ম পরিবর্তন করার জন্যও। জানা যাচ্ছে, দেরাদুন পুলিস ওই ৩ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। লালপুর এলাকা থেকে গতকাল শুক্রবার গ্রেফতার হয় নওশাদ।
গত বছরের জুন আর একটি নারকীয় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে উত্তরাখণ্ডে। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নাম করেই জোর করে মহিলাকে তুলেছিলেন গাড়িতে। কিন্তু তাদের মনে যে অন্য ফন্দি চলছিল, তা আন্দাজও করতে পারেননি ওই মহিলা। চলন্ত গাড়ির মধ্যেই পাশবিক নির্যাতনের শিকার হলেন মহিলা। লালসা থেকে মুক্তি পেল না ছয় বছরের শিশুকন্যাও। মায়ের সঙ্গে মেয়েকেও ধর্ষণ করা হল। ঘটনাটি ঘটে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে। ধর্ষণের পর ওই মহিলা ও তাঁর মেয়েকে একটি সরু খালের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ।