এভাবেই সেজে উঠছে এ বছরের নলিন সরকার স্ট্রিট এর পুজো মণ্ডপ।

 

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পুজো আসছে। ঘরে ফিরছে উমা। আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হচ্ছে তার আগমনী সুর। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সেজে উঠছে বাঁশের কাঠামো। কোথাও থিম কোথাও বনেদিয়ানা। কিন্তু পুজো আসলেও ছুটি নেই শ্রমিক দের। শ্রম এমন একটা বিষয় যা ধর্মের ছোট কোনো গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ থাকে না কখনোই। জায়গায় জায়গায় সম্প্রিতিক বিভাজনে মানুষের চাওয়া পাওয়া গুলো মিলিয়ে হচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি হচ্ছে। তাই ধর্ম না, শেষ কথা বলবে শ্রম। – এই থিম নিয়েই এই বছর সেজে উঠছে কলকাতার অন্যতম বিখ্যাত পুজো নলীন সরকার স্ট্রিট এর পুজো প্রাঙ্গন।এবার ৮৭ তম বর্ষ তাদের। প্রতি বছরই একটা বিশেষ ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলে দর্শনার্থীদের নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে বাহবা কুড়োতে সক্ষম হয় তারা। তাদের বিশ্বাস, এবারও বিফল যাবেনা তাদের এই আয়োজন।

শ্রমের কথা তুলে ধরতেই এ বছরের উদ্যোক্তারা সাজিয়ে তুলছে মণ্ডপ। কুলি মজুরদের ব্যবহৃত টিন, কাপড়, ঝুড়ি দিয়েই সেজে উঠবে এ বছরের পুজো প্রাঙ্গন।উদ্যোক্তাদের মতে, কর্ম মানুষের জীবনের একটা গুরুত্বপর্ণ অংশ। কর্ম কে বাদ দিলে চলতে পারেনা জীবন। কিন্তু সেই কর্মই হয় উপেক্ষিত। তাই কর্মযজ্ঞ কেই তুলে ধরেছে তারা। আছে প্রতিমা তেও বিশেষত্ব। দেবী দুর্গা এখানে পূজিতা হবেন কর্মের দেবী রূপে। তাদের মতে মাকে আমরা মহিষাসুর মর্দিনি রূপেই পুজো করি। তিনি পূজিতা হন তার এই কর্ম সম্পাদনের জন্য আরো বেশি।মণ্ডপের মাঝে শ্রজীবীদের মুখ, বারবার যেন তারা বলে চলে, জীবনের পরিচয় হোক ধর্ম দিয়ে নয় বরং কর্ম দিয়ে।

 

সম্পর্কিত খবর