“গোলামির চিহ্ন থেকে অবশেষে মুক্তি!”, নৌসেনার নতুন পতাকা উদ্বোধন করে দৃপ্তকণ্ঠে জানালেন মোদী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২। নিঃসন্দেহে ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে এই দিনটি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ, এই দিনটিতেই নৌবাহিনী নজিরবিহীন মাইলফলক স্পর্শ করল। ইতিমধ্যেই দেশে তৈরি প্রথম যুদ্ধবিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ INS Vikrant তার যাত্রা শুরু করল আজ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi)-র হাত ধরেই শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ভাবে পথ চলা শুরু করল INS Vikrant। পাশাপাশি, নৌবাহিনীর নতুন পতাকাও আজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

যেই পতাকায় ব্রিটিশ শাসনের স্মৃতিবাহী সেন্ট জর্জ ক্রসের পরিবর্তে এবার থেকে ছত্রপতি শিবাজির “রাজমুদ্রা” ফুটে উঠবে। INS Vikrant-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে শুক্রবার কেরলের কোচিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর ওই নতুন পতাকার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি, তিনি দৃপ্তকণ্ঠে জানালেন, “এবার গোলামির চিহ্ন থেকে মুক্তি পেল ভারতীয় নৌসেনার পতাকা।’’

কেমন ছিল আগের পতাকা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নৌসেনার সদ্য-বাতিল পতাকার রংটি ছিল সাদা। পাশাপাশি, তাতে ছিল লাল রঙের “ক্রস” চিহ্ন। এছাড়াও, সেই লাল “ক্রসের” মধ্যে ভারতের জাতীয় প্রতীক হিসেবে ছিল অশোক স্তম্ভ। পতাকাটির এক কোণে ভারতের জাতীয় পতাকাও ছিল। এদিকে, ওই কোণটিতেই ব্রিটিশ শাসনকালে “রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি”র পতাকায় থাকত “ইউনিয়ন জ্যাক”।

এমতাবস্থায়, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করা নতুন পতাকায় সাদা পতাকার কোণে তেরঙ্গা থাকলেও জর্জ ক্রসটিকে এবার মুছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় নৌসেনার প্রতীক এবং স্লোগান “শ নৌ বরুণ” সংযোজন করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, এর আগে ২০০১ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমলে নৌসেনার পতাকা থেকে জর্জ ক্রস বাদ পড়েছিল।

পরবর্তীকালে নৌআধিকারিকদের একাংশের সুপারিশে ২০০৪ সালে তা ফের যুক্ত করা হয়। এদিকে, আজ নতুন এই পতাকার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, ঔপনিবেশিকতার স্মৃতিবাহী পতাকার পরিবর্তে নৌসেনার হাতে “ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের রাজমুদ্রা” প্রতীকযুক্ত পতাকা তুলে দিতে পেরে তিনি অত্যন্ত গর্বিত। উল্লেখ্য যে, ১৯৫০ সালের পর থেকে এই নিয়ে মোট চার বার রং এবং ধাঁচ পরিবর্তন করল ভারতীয় নৌসেনার পতাকা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর