মঙ্গল গ্রহে রহস্যময় ছবি তুলল NASA-র রোভার! ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের পর মিলল উত্তর

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সম্প্রতি মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (National Aeronautics and Space Administration)-র পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গল গ্রহে একটি আশ্চর্যজনক জিনিসের ছবি সামনে এনেছে। প্রথমদিকে ওই বস্তুটিকে একটি ধাতুর মত দেখতে মনে হলেও পরবর্তীকালে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, এটি পারসিভারেন্স রোভারের একটি বর্জ্য পদার্থ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছর, নাসা মঙ্গল গ্রহের জেজিরো ক্রেটরে জীবনের চিহ্ন অনুসন্ধান করতে পারসিভারেন্স রোভার পাঠিয়েছিল। কিন্তু এখন মঙ্গলে মানুষসৃষ্ট বর্জ্য খুঁজে পাচ্ছে রোভার।

এই প্রসঙ্গে গত বুধবার, পারসিভারেন্স রোভার দল টুইটারে একটি ছবি শেয়ার করেছে। যেখানে একটি চকচকে ধাতুর মত জিনিসকে একটি পাথরের সাথে লেগে থাকতে দেখা যায়। কিন্তু পরে বিজ্ঞানীরা ভালো ভাবে অনুসন্ধানের পর বুঝতে পারেন যে, এটি ছিল একটি “থার্মাল ব্ল্যাঙ্কেট” যা উচ্চ তাপমাত্রার হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্যবহার করা হয়।

এদিকে, এটি খুঁজে পেয়ে বিজ্ঞানীরাও কার্যত অবাক হয়ে যান। কারণ, জানা গিয়েছে, রোভারটি এই “থার্মাল ব্ল্যাঙ্কেট”-টি থেকে প্রায় দুই কিমি দূরে অবতরণ করেছিল। পাশাপাশি, টুইটারে জানানো হয়েছে, হয় এই টুকরোটি এখানে পড়েছিল নয়তো বাতাসে উড়ে এসে এখানে এসে পৌঁছেছে।

ইতিমধ্যেই একাধিক বর্জ্য পাওয়া গেছে:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এটি মঙ্গল গ্রহে রোভারের প্রথম বর্জ্য পদার্থ নয়। বরং, গত এপ্রিল মাসে, ইনজেনুইটি হেলিকপ্টার (Ingenuity Helicopter) স্পেস জাঙ্কের ছবি তুলেছিল যা রোভারের ল্যান্ডিং গিয়ার ছিল বলে জানা যায়। মূলত, মঙ্গলে অবতরণের সময় এটি মাটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়ে। যার ফলে, এর অংশগুলি দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। এই প্রসঙ্গে পারসিভারেন্স রোভারের প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার ইয়ান ক্লার্ক জানিয়েছেন, “পারসিভারেন্স এখনও পর্যন্ত ইতিহাসে সবচেয়ে ‘ডকুমেন্টেড ল্যান্ডিং’ করেছে। এটির ক্যামেরা প্যারাসুট থেকে টাচডাউন পর্যন্ত সব দেখিয়েছে।”

WhatsApp Image 2022 06 24 at 12.32.06 PM

মহাকাশে বাড়তে থাকা বর্জ্যের পরিমান বাড়াচ্ছে চিন্তা:
মূলত, বর্তমানে মহাকাশে ক্রমবর্ধমান বর্জ্যের পরিমান মহাকাশ সংস্থাগুলির জন্য এক বিরাট উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের দ্বারা মহাকাশে ফেলে আসা বর্জ্যগুলি সেই গ্রহগুলিকে দূষিত করছে। সেই তালিকায় রয়েছে জুতো, বেলচা এমনকি মঙ্গলে পাঠানো অ্যাপোলো মিশনের পুরো মহাকাশযান। তবে, এখানেই শেষ নয়, এর সাথে রয়েছে খারাপ স্যাটেলাইট, পোড়া রকেট বুস্টার এবং প্যারাসুটের বর্জ্যও। যেগুলি পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর