বাম্পার পতন গ্যাসের দামে, মধ্যবিত্তদের জন্য বিরাট বড় খুশির খবর

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মধ্যবিত্তের জন্য সুখবর নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ নতুন বছর শুরু হওয়ার সাথে সস্তা হল রান্নার গ্যাস ও সিএনজি। ২০১৪ সালের পর ২০২০ অর্থবছরের শুরুতে সর্বনিম্ন হল প্রাকৃতিক গ্যাস। দেশে উৎপাদিত প্রাকৃতিক গ্যাসের বিক্রয় মূল্য ২৬ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার জেরে এক ধাক্কায় অনেক খানি কমে যাবে গ্যাসের দাম। তবে এর জেরে রিলায়েন্স, ওএনজিসির মতো গ্যাস উত্পাদনকারী সংস্থাগুলির আয় ব্যাপক পরিমাণে হ্রাস করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

   

ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পরিকল্পনা ও বিশ্লেষণ সেল (পিপিএসি) জানিয়েছে যে ভারতে বর্তমান গ্যাস উৎপাদনের বড় অংশের ব্যয় এখন এপ্রিল থেকে পরবর্তী ছয় মাসের জন্য প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিটু) প্রতি ২.৯৯ ডলার হবে। গতকাল পর্যন্ত এই দাম ছিল মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট প্রতি $ 3.23।

প্রসঙ্গত, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম প্রতি বছর 1 এপ্রিল এবং অক্টোবর 1 তারিখে নির্ধারিত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস সার এবং বিদ্যুৎ উত্পাদনে ব্যবহৃত হয়। এটি সিএনজি তৈরিতেও ব্যবহৃত হয়, যা যানবাহনের জ্বালানী হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি রান্নার গ্যাস হিসাবেও এটি সরবরাহ করা হয়।

পাশাপাশি, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে একজন গ্রাহক ১৫ দিনের ব্যবধান ছাড়া সিলিন্ডার বুক করতে পারবেন না। অর্থাৎ একবার বুকিং করার ১৫ দিন পর আবার নতুন বুকিং করতে পারবেন গ্রাহকরা।

ioc তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, We assure all our #Indane customers for seamless LPG supplies. We are adequately stocked & deliveries are happening as per usual. We have introduced a system of booking refill with a gap of 15 days from the last refill. Kindly follow this process and #StayHomeStaySafe. https://t.co/7KAmbCux77 ( সীমাহীন এলপিজি সরবরাহের জন্য আমরা আমাদের # ভারতীয় গ্রাহকদের আশ্বাস দিই। আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ করেছি এবং বিতরণগুলি যথারীতি ঘটছে। আমরা শেষ রিফিলের 15 দিনের ব্যবধানে বুকিং রিফিলের ব্যবস্থা চালু করেছি #StayHomeStaySafe)

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ম্যানেজার সঞ্জীব সিং জানিয়েছিলেন, “এইভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বুক করতে থাকলে পুরো ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে যাবে। বুকিং হওয়ার সাথে সাথে গ্যাস সিলিন্ডার ভর্তি করার জন্য কারখানাকে জানাতে হয়। আর তারপর সেখান থেকেই গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের কাজ শুরু হয়। এরপর ডেলিভারি বয়রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করে থাকেন।”

সম্পর্কিত খবর