করোনা আবহের মধ্যে এই বিরাট অর্থ খরচ করে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের দরকার ছিল? প্রশ্ন তুললেন রুদ্রনীল ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জন্মদিনেই কিছুটা অন্যরকম সুর শোনা গেছিল তাঁর গলায়, এখন আবার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল নিয়েও রাজ্য সরকারকে প্রশ্ন করতে ছাড়লেন না রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় থাকলেও, গত দেড়বছর ধরে দলের সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তাঁর।

২৬ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক উৎসবের (Kolkata International Film Festival) শুভ সূচনা হল গত শুক্রবারই। করোনা আবহ হলেও এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বসেছিল চাঁদের হাঁট। সেখানে কে ছিলেন না…। বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ার প্রায় সকলেই- প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, রুক্মিণী, রাজ চক্রবর্তী, নুসরত জাহান, ইন্দ্রাণী হালদার সহ একঝাঁক টলি তারকা। সুদূর মুম্বাই থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানও এবং সর্বোপরি অনুষ্ঠানের মূলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

রুদ্রনীল ঘোষ,Rudranil Ghosh

একদিকে যখন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে টলি তারকাদের আসর বসেছিল, তখন কিন্তু সেখানে উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূল ঘনিষ্ঠ রুদ্রনীল ঘোষ। সম্প্রতি তাঁর জন্মদিনে কিছুটা অন্যরকম সুর শোনা গেছিল তাঁর গলায়। তারউপর আবার বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠকে সম্মতি- সব মিলিয়ে কিছুটা জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

রুদ্রনীল ঘোষ,Rudranil Ghosh

তবে কি এবার তৃণমূল ছাড়তে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ? বন্ধু রাজ চক্রবর্তির ডাকেও সাড়া দিলেন না, গেলেন না ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে? এসব নিয়ে যখন সরগরম রয়েছে রাজ্য রাজনীতি তখন মুখ খুললেন রুদ্রনীল ঘোষ। বললেন, ‘করোনা অতিমারির সময় যেখানে আমফান ক্ষতিগ্রস্থ বাংলা, সেখানে এই বিরাট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা কি খুবই প্রয়োজন ছিল? এটা কতটা যুক্তিসঙ্গত, সে বিষয়ে কিন্তু একটা সংশয় থেকেই যাচ্ছে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর