রোহিঙ্গা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নয়া পরিকল্পনা বাংলাদেশের, ক্ষোভ প্রকাশ অনেকের!

আরবের মুসলিমদেশগুলি মুসলিম শরণার্থীদের জন্য ১ আনাও খরচ করতে চাই না। অন্যদিকে ভারত উপমহাদেশের মুসলিমরা শরণার্থীদের নিজের কাঁধে চাপানোর জন্য সবসময় তৈরি থাকে। বিশ্বের সবথেকে বড়ো শরণার্থী সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশ রোহিঙ্গা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে রূপরেখা তৈরির কাজ করছে। আসলে মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশ সরকার তাদের দেশে শরণ দিয়েছিল। ইসলামের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশের জনতাও বিষয়টিকে স্বীকার করেছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশে ভালোমতো বুঝতে পেরেছে যে তাদের সিদ্ধান্ত আগামী সময়ে পুরো বাংলাদেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে। তাই বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দুর্দান্ত সমাধান বের করেছে।

 

বাংলাদেশ সরকার ১ লক্ষ রোহিঙ্গাকে মায়ানমারের কাছে এক নির্জন দ্বীপে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের অনুযায়ী, এখন কক্সবাজার নামক এলাকায় রোহিঙ্গাদের রাখা হয়েছে। সেখানে ভিড় লাগাতার বৃদ্ধি হচ্ছে যাকে আগামী সময়ে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন। শুধু এই নয়, এই রোহিঙ্গারা এত সংখ্যক বাচ্চা জন্ম দিচ্ছে যে বাংলাদেশে জনবিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে। শুধু এই নয় রোহিঙ্গারা নানা অবৈধ কাজেও জড়িত। খুন, ডাকাতি, ধর্ষণ ইত্যাদি নানা কাজে জড়িত থাকার জন্য আন্তর্জাতিক স্তরে পুরো বাংলাদেশের নাম খারাপ হচ্ছে।

 

কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাবসতি এলাকায় মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করেছিল। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছিল, রোহিঙ্গার মোবাইল ফোন ব্যাবহার করে মায়ানমার থেকে অবৈধ অস্ত্রের পাচার কার্য চালাচ্ছে। হত্যা, ডাকাতি ইত্যাদি সম্পর্কিত ৬০০ টি মামলা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছে। অর্থাৎ রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে শুধু আর্থিক সংকট তৈরি করছে তাই নয়, সাথে সাথে আইনব্যাবস্থাকে ভঙ্গ করছে। তাই প্রথমে মোবাইল পরিষেবা বন্ধ ও পরে তাদের নির্জন দ্বীপে পাঠানোর সিদ্ধান্ত থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের তাদের সমাজ থেকে দূরে রাখতে চাইছে। এমনিতেও বাংলাদেশের GDP গ্রোথ রেট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি ইসলামের দোহাই দিয়ে রোহিঙ্গা নিয়ে ব্যাস্ত থাকলে কোনোভাবেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। যদিও সরকারের এই সিদ্ধান্ত এর উপর আক্রোশ প্রকাশ করেছে উগ্র কট্টরপন্থীরা।

সম্পর্কিত খবর