বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারত পাকিস্তানের (India-Pakistan) মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি চললেও সিন্ধু জলচুক্তির ক্ষেত্রে অবস্থানে অনড় রয়েছে ভারত। পহেলগাঁও হামলার পরেই দীর্ঘদিনের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করে দেয় নয়াদিল্লি। তার জেরে এখনো পর্যন্ত বহুবার নানা ভাবে হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে ইসলামাবাদকে। তবে ভারতের (India-Pakistan) তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, সিন্ধুতে জল এবং রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। চুক্তি স্থগিত করার বিষয়ে কড়া অবস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি এবার পাকিস্তানের জন্য চিন্তা আরো বাড়াতে চলেছে ভারত।
সিন্ধু নিয়ে পাকিস্তানকে (India-Pakistan) আরো চাপে ফেলল ভারত
পহেলগাঁও হামলায় জঙ্গিদের সঙ্গে পাকিস্তানের (India-Pakistan) যোগসূত্র খুঁজে পাওয়ার পরেই বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল ভারত। তার মধ্যে অন্যতম ছিল সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা। পহেলগাঁও হামলার আগেই জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চারটি প্রোজেক্টের ঘোষণা করেছিল ভারত। তবে সেক্ষেত্রে গভীর জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা না থাকায় কোনো আপত্তির কারণ ছিল না পাকিস্তানের।
তৈরি হবে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র: পহেলগাঁও হামলার পর সিন্ধু জলচুক্তি নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝেই এবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর স্পষ্ট করে দিলেন, পাইপলাইনে থাকা কোনো প্রকল্পের কাজ বন্ধ তো হবেই না, উপরন্তু নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায়ে থাকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলধারণ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়েও চলছে চিন্তাভাবনা।
আরো পড়ুন : জীবন এবং স্বাস্থ্য বিমায় জিএসটি প্রত্যাহার? বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্র সরকার
কী জানালেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী: পাকিস্তানকে (India-Pakistan) হুঁশিয়ারি দিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রী ঘোষণা করেন, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই সিন্ধু জলচুক্তির সম্পূর্ণ বিপরীতে জম্মু কাশ্মীরের প্রথম গভীর জলাধার সম্পন্ন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পাকাল ডালের কমিশন করতে পারে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, এর আগে পরিকল্পনা ছিল চারটি প্রোজেক্টের। সিন্ধ নালার উপরে ৯৩ মেগাওয়াটের নতুন গন্দেরবাল প্রকল্প, কীর্থাই ২ তে ৯৩০ মেগাওয়াট, চেনাব নদীর উপরে সওয়ালকোটে ১৮৫৬ মেগাওয়াট ছাড়াও ঝিলম নদীর উপরে ২৪০ মেগাওয়াটের উরি ১, স্টেজ ২ প্রোজেক্টের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন : ১৯ তারিখ থেকেই বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন, যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি দক্ষিণ পূর্ব রেলের
নদীর স্রোতকে কাজে লাগিয়ে টারবাইনের মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের আরো দুটি প্রোজেক্ট তৈরি সম্ভব কিনা তা নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জম্মু কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ১০৮৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৯ টি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব। এর মধ্যে গভীর জলাধার এবং বাঁধ সহ ৩ টি প্রকল্প তৈরি সম্ভব কিনা তা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে খবর।