একটু অন্যরকমভাবে আজাদি চায় বিজেপি

আজাদি শব্দটার মধ্যেই যেন একটা প্রানবন্ত ছোঁয়া আছে।  আজাদি বলতেই আমাদের মাথায় আসে একটা মুক্ত পরিবেশ, বা একটা বন্দী জীবনের ইতি। আর এই আজাদি পেতে সব প্রাণীরাই ব্যাকুল। আজাদির স্বাদ আলাদা, আনন্দ আলাদা। কিন্তু বর্তমানে আমাদের দেশ ভারতের যা অবস্থা তা কোনোভাবেই আমাদের আজাদির চিহ্ন দেখাতে পারছে না।

এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর নিয়ে উত্তাল দেশের মানুষ। ক্ষিপ্ত আমজনতা, কারণ তাদের মতে এসব আইনের মাধ্যমে তাদেরকে আজাদ করছে না সরকার। জেএনইউ থেকে ‘আজাদি’ শব্দ বেরোলেই মোদী সরকারের মন্ত্রীরা বলতেন, ‘সব দেশ-বিরোধী কাণ্ড!’  কিন্তু বিজেপি নেতারা মনে করাতেন, নব্বই দশকের গোড়ায় কাশ্মীর থেকে পণ্ডিতদের তাড়ানোর সময়ে দেওয়া হতো ‘আজাদি’ স্লোগান। সেই স্লোগান এখনও আতঙ্কের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে তাঁদের কাছে।

 

 

তবে এখন প্রতিবাদ যত বাড়ছে, বাড়ছে বিজেপির রক্তচাপও। বিজেপির একাংশ ভাবছে, যতই এটি ফারসি শব্দ হোক, আর উর্দু শব্দভাণ্ডারে ঠাঁই করে নিক না কেন, রাজ্যে রাজ্যে ‘আজাদি’ স্লোগান তুলবেন তাঁরাও। তবে সেই ধরণ হবে অন্যরকমের। সি এএ, এন আর সি নিয়ে উত্তাল দেশের জনতা এখন মারাত্মক ক্ষিপ্ত। তাই তাদের মিছিল প্রতিবাদ সভা যতই হিংস্রাত্মক হোক না কেন, তাকে শান্তি পূর্ণ করা উচিত। এমনকি বিজেপির অনেক নেতারা  চাইছেন এই আজাদির মাধ্যমে শান্তি ফিরুক। কিন্তু এই আজাদির প্রচলন সর্বপ্রথম করেন জেএনইউ  বিশ্ববিদ্যালয়ের কানহাইয়া কুমার।

তার আজাদি যেভাবে মানুষকে বদ্ধ ধারণা থেকে আজাদি দেয় তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা।  এই প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন  ‘‘সিএএ-র বিরুদ্ধেই যত প্রতিবাদ। সেখানেই উঠছে ‘আজাদি’ স্লোগান। এই আইনের সমর্থনে আমরাও গোটা দেশে পাল্টা মিছিল, সভা করছি। আমাদেরই কিছু নেতা পাড়ায় পাড়ায় ‘আজাদি’ স্লোগান তুলছেন।’’ আর  এখন এইভাবেই বিজেপি  নতুন পন্থায়  আজাদি করে  সাফল্য আর শান্তি ফেরাতে চায়। তবে বাস্তবে তা কার্যকরী হলে   দলে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত হবে। তার পর এটাই দেখার কতটা আজাদ হয় ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি।

সম্পর্কিত খবর