স্ত্রীকে সুখ দিতে বন্ধুর পরামর্শে অতিরিক্ত ভায়গ্রা সেবন! টানা ২০ দিন লিঙ্গোত্থানের পর করুণ অবস্থা বরের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমান সময়ে পুরুষদের লিঙ্গের উত্থানগত ত্রুটি এক গুরুতর সমস্যা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যত দিন যাচ্ছে এই সমস্যা বাড়ছে বই কমছে না। এই সমস্যা দূর করতেই চিকিৎসকরা ভায়াগ্রা গ্রুপের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন। কিন্তু, অতি উৎসাহে এই ওষুধ মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে যে কী হতে পারে, তা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের এক ব্যক্তি। সদ্যবিবাহিত ওই ব্যক্তির ঠিকানা এখন হাসপাতাল। স্ত্রী চলে গিয়েছেন বাপের বাড়িতে। আর ডাক্তাররা জানিয়ে দিয়েছেন, শত চিকিৎসাতেও তাঁকে একটি কঠিন সমস্যা সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

ঠিক কী ঘটেছিল? মাসখানেক আগে বিয়ে করেছিলেন ওই ব্যক্তি। লিঙ্গ শিথিলতার সমস্যা থাকায় এক বন্ধু ভায়াগ্রা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরামর্শে ভায়াগ্রা খেলেও নির্দিষ্ট মাত্রার তুলনায় বেশি ভায়াগ্রা গ্রহণ করেছিলেন। প্রথমে, প্রস্তাবিত পরিমাণেই ভায়াগ্রা সেবন করলেও, বন্ধুদের পরামর্শে তিনি ডোজ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ডোজ বাড়াতে বাড়াতে একসময় তিনি প্রতিদিন ২০০ মিলিগ্রাম ডোজে ভায়াগ্রা সেবন শুরু করেছিলেন। অথচ, চিকিৎসকরা বলেন, এই ওষুধ দিনে ৫০ মিলিগ্রামের বেশি সেবন করা একেবারেই উচিত নয়।

জানা যায় যে, ২০ দিন ধরে লিঙ্গ উত্থিত থাকায় শেষমেশ হাসপাতালে ছুটতে হয় তাঁকে। স্বামীর যৌন সমস্যার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান স্ত্রী। কোনওরকমে স্ত্রীকে বুঝিয়ে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন যুবক। তারপর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ফের মায়ের বাড়ি চলে যান নববধূ।

IMG 20220607 WA0002

যুবকের অবস্থা স্বাভাবিক করতে তাঁর অপারেশন করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবক বাবা হতে পারবেন। তবে তাঁর গোপনাঙ্গের যে অস্বস্তি তা এখনই শেষ হবে না। হতে পারে আজীবন তাঁকে সেই সমস্যা ভোগাবে। তাই, তাঁকে পাবলিক প্লেসে যাওয়ার জন্য ন্যাপি বা যে কোনও আঁটসাঁট পোশাক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। প্রয়াগরাজের বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল মতিলাল নেহরু মেডিকেল কলেজে এই অপারেশন হয়। চিকিৎসকদের মতে, শীঘ্রই ওই যুবক স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করবেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর