শুরু হবে নতুন যুগ, ভারতে চালু হবে উড়ন্ত বাস, প্রস্তুতি নিচ্ছেন নীতিন গড়করি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিককালে কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি (Nitin Gadkari) পরিবহণক্ষেত্রে একের পর এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবাক করে দিচ্ছেন সকলকে। পাশাপাশি, উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে সামগ্রিক পরিকাঠামোকে সাজিয়ে তোলার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায়, এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহারাষ্ট্রের সমস্ত বড় শহরগুলিতে ক্রমবর্ধমান যানজটের সমস্যা দূর করার জন্য একটি দুর্দান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

   

মূলত, পুণেতে উড়ন্ত বাস বা ট্রলি বাসের পরিকল্পনার বাস্তবায়নের প্রতি নজর দিচ্ছেন গড়করি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পুণের মানুষ যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি শুক্রবার পুণেতে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি পুণের চাঁদনি চকের ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সেখানেই ট্রাফিক সমস্যা মোকাবিলার উপায় ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গড়করি উড়ন্ত বাসের কথা উল্লেখ করেছেন।

শুধু তাই নয়, পুণে থেকে সাতারা যাওয়ার রাস্তায় যানজট কমাতে তিনি চারতলাবিশিষ্ট রাস্তার পরিকল্পনার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, “সাতারা রোডে এলিভেটেড রোড নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ নিচে একটি রাস্তা থাকবে ও তার ওপরে দু’টি ফ্লাইওভার থাকবে এবং সবার ওপরে মেট্রোর মতো মাস র‍্যাপিড ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থাও থাকবে। এই জন্য প্রকল্প তৈরির নির্দেশ দিয়েছি।”

মুম্বাই থেকে সাড়ে চার ঘণ্টা এবং পুণে থেকে ব্যাঙ্গালোর আসার সময়কাল সাড়ে তিন ঘন্টা হবে: এই প্রসঙ্গে নীতিন গড়করি পুণে-ব্যাঙ্গালোর গ্রিনফিল্ড হাইওয়ে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানিয়েছিলেন। তিনি জানান, “পুণে-ব্যাঙ্গালোর গ্রিনফিল্ড হাইওয়ের ফলে মুম্বাই থেকে ব্যাঙ্গালোরগামী গাড়িগুলি পুণে প্রবেশের পরিবর্তে বাইরের রুট থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে। এর মাধ্যমে মুম্বাই থেকে ব্যাঙ্গালোর সাড়ে চার ঘণ্টায় এবং পুণে থেকে ব্যাঙ্গালোর সাড়ে তিন ঘণ্টায় পৌঁছনো সম্ভব হবে। এই রাস্তাটি পশ্চিম মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষপীড়িত এলাকার মধ্য দিয়ে যাবে, যা সেইসব এলাকার উন্নয়নের পথও খুলে দেবে।”

Traffic Jam,Nitin Gadkari,Flying Bus,Maharastra,Pune,India,National,Highway,Mumbai,bangalore

কিভাবে চলবে উড়ন্ত বাস: গড়করি জানান, “আমরা ১৬৫ টি রোপওয়ে ক্যাবল কার তৈরি করছি। পাশাপাশি, আমাদের এয়ার বাস আছে। যেগুলিতে ১৫০ জন যাত্রী বসতে পারেন। তারা উপরেই যাতায়াত করবে। এভাবে ওপর থেকে যান চলাচল শুরু হলে যানজট এড়ানো যাবে। এছাড়া, ট্রলি বাসের বিকল্পও রয়েছে। এগুলিতে দু’টি বাস যুক্ত করা হয়েছে যা বৈদ্যুতিক তারে চলে। এই বৈদ্যুতিক বাসের দাম ৫০ লক্ষ টাকা। অপরদিকে, একই ক্ষমতার ট্রলি বাসের দাম ৬০ লক্ষ টাকা। পুণে মিউনিসিপ্যাল ​​কর্পোরেশন যদি এখন প্রস্তুতি দেখায়, তাহলে আমরা অর্থের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে পারব।”

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর