নিজামুদ্দিন মরকজ নিয়ে ভয়ানক তথ্য সামনে এলো দিল্লী পুলিশের তদন্তে!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিজামুদ্দিন মরকজ কেসে (Nizamuddin Markaz case) এফআইআর দায়ের হওয়ার পর এবার তদন্তে দ্রুততা আনা হচ্ছে। তদন্তে অনেক কিছুই সামনে আসছে। দিল্লী পুলিশ (Delhi Police) জানতে পেরেছে যে, মরকজে প্রায় ১৬০ মৌলবি ছিল যাঁদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের লক্ষণ দেখা গেছিল। এই কথা দিল্লী পুলিশ আর দিল্লী সরকার দুই পক্ষের কাছেই লোকান হয়েছিল। আর সেই সময় এর আশঙ্কা সেন্ট্রাল এজেন্সি গুলোর মাথায় এসেছিল। আর এই কারণে ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশন বিদেশীদের ক্ষেত্রীয় পঞ্জিকরণ কার্যালয়ে অনেকবার সার্কুলার জারি করে ডেকেছিল। আর বিদেশীদের মেডিকেল পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছিল। শোনা যাচ্ছে যে, ইচ্ছে করে ওদের পরীক্ষা করানো হয়েছিল না।

delhi jamat

দিল্লী পুলিশের সুত্র অনুযায়ী, মার্চের প্রথম সপ্তাহে যখন মরকজ এর বিল্ডিং গাদা গাদা মানুষে ভর্তি ছিল, তখন সেখানে দুই হাজারের বেশি বিদেশী নাগরিক ছিল। এর সাথে সাথে সেখানে সেই ভারতীয় জামাতিরাঅ ছিল, যারা ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এক মার্চ কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া থেকে ভারতে এসেছিল। নিজামুদ্দিন মরকজে সেই সময় ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ ছিল।

যদিও, এদের মধ্যে কিছু মানুষ এই অনুষ্ঠান মাঝ পথেই ছেড়ে চলে যায়। পুলিশের তদন্তে এই তথ্য সামনে এসেছে। সেই সময় মৌলানা আর অন্যান্য পদাধিকারদের বলা হয়েছিল যে, তাঁরা যেন তাঁদের সদস্যদের মেডিকেল পরীক্ষা করিয়ে নেয়। তখনও এরা কেউ পরীক্ষা করাতে চায়নি। পুলিশের স্পেশ্যাল ইউনিট যখন তদন্ত করায়, তখন জানা যায় যে, সেখানে এক দুই না, ডজন ডজন মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস বাসা বেঁধেছে।

delhi 2

যখন সেখানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গুলোর যাতায়াত শুরু হয়, তখন মৌলানা বুঝতে পারে যে, তাঁদের পর্দাফাঁস হয়ে যেতে পারে। আর সেই জন্য ১৫ থেকে ১৯ মার্চের মধ্যে সেখান থেকে অনেক মানুষকে বের করে দেওয়া হয়, যাঁদের জ্বরে শরীর কাঁপছিল। এদের মধ্যে বেশীরভাগ তাবলীগি তেলেঙ্গানায় চলে গেছিল। দেশে অন্যান্য জায়গায় সেখান থেকে জামাতিরা ছড়িয়ে পড়ে। সবার আগে তেলেঙ্গানায় একসাথে অনেকজনের মৃত্যু করোনার কারণে হয়। এরপরই নিজামুদ্দিন মরকজে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাঁরা আর কোন মেডিকেল পরীক্ষার রিক্স নেয়নি।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর