ভোট দেওয়ার কোনো বয়স নেই, ধাক্কা মারার কোনও বয়স নেই: জয়প্রকাশকে কটাক্ষ করে বললেন অনুব্রত

বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে বিধানসভা উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল। যদিও পদ্মফুল ফোটার আশা করেছিল গেরুয়া বাহিনী কিন্তু সেই সব্জিই শেষ হাসি হেসেছে ঘাস ফুলে। এক কথায় বিজেপির দর্প চূর্ণ হয়েছে তাই বিজেপির সেই নির্বাচনের আগে হাঁক ডাকে কেন্দ্র করে ক্ষয় করতে মাঠে নেমে পড়েছে শাসক শিবির। বিজেপির ঔদ্ধত্যই উপনির্বাচনে পতনের মূল কারণ এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ বার খানিকটা মুখ্যমন্ত্রীর পথে না হাঁটলেও বিজেপিকে নাম না করে খোঁচা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচনে ভালো ফলাফলের জন্য তৃণমূলের সমস্ত নেতা নেত্রীদের যথেষ্ট ভাল বলে প্রশংসা করেন একই সঙ্গে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে ভোট দেওয়ার কোনও বয়স নেই ধাক্কা বাড়ার কোনও বয়স নেই বলে কটাক্ষ করেন। শুক্রবার মুরারই বিধানসভার পলাশের মাঠ থেকে এই মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল।

আসলে সোমবার বিধানসভা উপনির্বাচনের দিন যেভাবে করিমপুরে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারকে আক্রমণ করা হয় সেই ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তাঁকে লাথি মারা হয় নি, পায়ের আঙুল টেনে ধরতে গিয়েছিল, যেহেতু তিনি ভাল করে চলতে পারেন না তাই হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছে বলে কটাক্ষ করেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও এখানেই থেমে থাকেননি বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করেই ও হচ্ছে বস্তু বড় পাগল, তাই উল্টোপাল্টা ভুগতে থাকে মন্তব্য করেন অনুব্রত।

আসলে যেভাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বার বার নিজের দুর্গে ভাল ফলাফল করার ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সেই চ্যালেঞ্জ কার্যত এক নিমেষেই ভেঙে চুরমার আর তাই তাঁকে কটাক্ষ করতেও ছাড়লেন না অনুব্রত। উল্লেখ্য বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির পরাস্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এনআরসি কে যদি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয় বিজেপির প্রার্থী কমলচন্দ্র সরকার এবং  দিলীপ ঘোষ এর আর সি কেই তাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন।

যদিও দোষটা চাপিয়েছেন শাসক শিবিরের দিকেই, এরা সে নিয়ে ভুল বোঝানো হয়েছে তাই বিধানসভা উপনির্বাচনে আর ফলাফল হয়েছে জানিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ।

সম্পর্কিত খবর