কংগ্রেস দলে নবজ্যোত সিং সিধুর মত নেতার কোন প্রয়োজন নেই, দলও তাকে চায় নাঃ কংগ্রেস নেতা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কংগ্রেস (Indian National Congress) দলে জায়গা হবে না নবজ্যোত সিং সিধুর (Navjot Singh Sidhu)। কংগ্রেস ইনচার্জ হরিশ রাওয়াত (Harish Rawat) সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রাক্তন পাঞ্জাবের মন্ত্রিপরিষদ মন্ত্রী ও প্রবীণ নেতা নবজ্যোত সিং সিধু আর কংগ্রেস দলে থাকতে পারবেন না। দল এবং রাজ্য সরকারে সিধুর জন্য কোন জায়গা নেই।

   

সিধুর আচরণে ক্ষিপ্ত কংগ্রেস
সম্প্রতি ৪ ই অক্টোবর পাঞ্জাবের মগাতে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর ট্রাক্টর র‍্যালীতে কংগ্রেস সরকারেই আক্রমণ করেছিলেন নবজ্যোত সিং সিধু। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে যায় গোটা দল। সিধুর এই আচরণে ক্ষিপ্ত হয় দলের সদস্যরা এই কারণেই পরবর্তী কোন র‍্যালীতে সিধুকে কোন বক্তব্য রাখতে দেওয়া হয়নি।

নবজ্যোত সিং সিধুর এই আচরণের জন্যই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, কংগ্রেস দল এবং রাজ্য সরকারের কোন বিষয়ে সিধুর মত নেতার আর প্রয়োজন নেই। তবে হরিশ রাওয়াত জানিয়েছেন, পাঞ্জাব কংগ্রেসের কমান্ড সুনীল জাখারের হাতে এবং মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং সিদ্ধান্ত নেবেন, সিধুকে পাঞ্জাবে সরকারে স্থান দেওয়া হবে কিনা।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা
কিছুদিন আগেই আবার মাস্টার মোহন লাল জানিয়েছিলেন, ‘সিধু দম্পতি সর্বদা বিজেপিকে আকালি দল থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরামর্শ দিতেন এবং সর্বপরি ২০১৪ সালে তার অমৃতসর লোকসভা আসন হাতছাড়া হওয়ায় রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর সমস্য শর্ত পূরণ হওয়ায় আবার বিজেপির পাল্লা ভারী করার পরিকল্পনা করছে সিধু। ফিরে আসবে বিজেপিতে’।

সিধুর কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার হয়ে বিজেপি যোগ দেওয়ার জল্পনা বাড়ছে। মাস্টার মোহন লাল আরও বলেছিলেন, ‘নবজ্যোত সিং সিধুর ‘মাদার পার্টি’ হল বিজেপি। বিজেপি দলের হাত ধরেই, প্রথমে এবং সম্মানের সঙ্গে সিধু রাজনীতির জীবনে প্রবেশ করে। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোন মিল নেই, তাই সেখানে সে মানিয়ে নিতে পারেনি। সিধুর জন্য বিজেপির দরজা সবসময় খোলা আছে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর