বাংলাহান্ট ডেস্ক : শুরু হয়েছে নতুন বছর। তার ওপর আবার শীতের মরশুম। তাই ভ্রমনপ্রেমী মানুষদের তো এখন পায়ের তলায় সর্ষে। নতুন বছর শুরু হতেই উত্তরবঙ্গের (North Bengal) জলদাপাড়া জঙ্গল ঘেরা আলিপুরদুয়ার জেলার কোদালবস্তি গ্রামে ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। তাই স্বাভাবিক ভাবেই এত পর্যটকদের সাফারি করাতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে বন দফতরের।
উত্তরবঙ্গে (North Bengal) নতুন জঙ্গল সাফারি খোঁজ
সকাল হতে না হতেই বনকর্মী ও গাইডরা পর্যটক বোঝাই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন জঙ্গল সাফারির (Jungle Safari) উদ্দেশ্যে। প্রচুর সিসি লাইন রয়েছে এই এলাকায়। সেখানে গেলে দেখা মিলবে বন্যপ্রাণের। পর্যটকরা তো সোনায় সোহাগা। বন্যপ্রাণ দেখতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা। নতুন বছরের শুরুতে বেড়াতে গিয়ে হাতি, গন্ডার, বাইসন-সহ একাধিক বন্যজন্তুকে একই সঙ্গে দেখেতে পাওয়া মানে কি কম ভাগ্যের ব্যাপার?
নতুন বছরের উপহারের চেয়ে কম কিছু নয় পর্যটকদের কাছে। নতুন বছর শুরু হতেই উত্তরবঙ্গে (North Bengal) পর্যটকদের (Tourist) ভিড় দেখে আপ্লুত পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও। কোদালবস্তি, জলদাপাড়া জঙ্গলে ঘেরা একটি ছোট গ্রাম। বর্তমানে এই গ্রামেই দিনে চার ধাপে গাড়িতে সাফারি এবং হাতি সাফারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এখানে। তবে, শুধু জঙ্গলে গেলেই যে বন্যজন্তুদের দেখা মেলে তেমনটা কিন্তু নয়।
আরোও পড়ুন : কলকাতা বইমেলায় স্টল পায়নি এপিডিআর! মামলা গড়াল হাইকোর্টে
জঙ্গলে ঘেরা কোদালবস্তি গ্রামে প্রায় প্রত্যেক দিনই লোকালয়ে দেখা পাওয়া যায়, হাতি-সহ অন্যান্য বন্য জীবজন্তুদের। তাই এটা পর্যটকদের কাছে উপরি পাওনা বলাই চলে। মূলত এখানে বেশি ভিড় জমাচ্ছেন কলকাতার পর্যটকরা। জনৈক পর্যটক নীতা বিশ্বাস জানান,”হাতি সাফারি এই এলাকায় এসে করতেই হবে। দারুণ লাগবে পর্যটকদের।”
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বছরের শুরুতেই পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁরা ভীষণ খুশি। আগে এই গ্রামে কৃষিকাজ হতো। তবে জঙ্গল লাগোয়া হওয়ার জন্য হাতির যা তাণ্ডব, তাতে এখন প্রায় কৃষিকাজ বন্ধ। তাই এই পর্যটন শিল্পের ওপরই জীবন জীবিকা চালান এখানকার বাসিন্দারা। এই গ্রাম্য এলাকায় আরও সাফারি গাড়ির যাতে বৃদ্ধি করা যায়, তারই চেষ্টা করছে বন দফতর (Forest Department)।