করোনাকে হারিয়ে মন খুলে শ্বাস নিচ্ছে ইজরায়েল, মাস্কহীন অবস্থায় ঘুরছে প্রতিটি ব্যক্তি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (covid-19) দ্বিতীয় ঢেউ নতুন করে মাথা চাড়া দিলেও বুক ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে ইজরায়েল (israel)। কড়া সতর্কতা, করোনা বিধি নিষেধ মান্য করা এবং সর্বোপরি ভ্যাকসিন প্রয়োগের সফলতার পর- আজ যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আতঙ্কিত গোটা দেশ, ঠিক সেই সময়ে ইজরায়েলের এক সংসাদপত্রে শিরোনাম প্রকাশিত হল – ‘ব্রিদিং ফ্রিলি’।

   

করোনার প্রথম পর্ব থেকে টিকাকরণের আগে পর্যন্ত, এমনকি টিকাকরণের পরও কড়া বিধি নিষেধের মধ্যে ছিল ইজরায়েল। এখনও রয়েছে চূড়ান্ত সতর্কতা। সেখানকার বাসিন্দাদের ১৬ বছর বয়স হলেই, তাদের করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। শুরু থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ৮১ শতাংশ ইজরায়েলবাসীরই কোভিড টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন।

করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর যখন ব্রিটেন, আমেরিকা টিকাকরণ শুরু করেছিল, তাদের পরই ভ্যাকসিন প্রয়োগে শুরু করেছিল ইজরায়েল। বাকি দেশগুলো মাঝে টিকাকরণে ঢিলেমি দিলেও, ইজরায়েল একই গতিতে টানা ভ্যাকসিন প্রয়োগের কাজ করে গেছে। যার ফলে বর্তমানে ইজরায়েলের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশেরও বেশি মানুষের টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন একদিকে গোটা পৃথিবী আবারও আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে, ২০২০ সালের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি স্মরণ করছে, তখন ইজরায়েলবাসী প্রাণ ভরে শ্বাস নিয়ে মাস্ক ছাড়াই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করছে। এখন সেখানে করোনা সংক্রমণের পরিমাণও সামান্য এবং রোগীর সংখ্যাও অনেক কম। টিকাকরণের পাশাপাশি বজায় রাখা হয়েছিল কড়া করোনা সতর্কীকরণ। যার জেরে আজ গোটা পৃথিবী সংকটে থাকলেও, ইজরায়েলবাসীরা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর