এবার লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টারের কাছে বিমানবন্দর তৈরি করছে পাকিস্তান! কি ভাবনা ভারতের?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিভিন্ন সময়ে একের পর এক বিতর্কিত কাজ করে বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে পাকিস্তান (Pakistan)। এমনকি, একাধিক হিংসাত্মক ঘটনার পেছনেও যুক্ত থেকেছে এই দেশ। সর্বোপরি, গোটা বিশ্বই একপ্রকার জানে যে পাকিস্তান হল সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয়স্থল। এমতাবস্থায়, ফের একবার পাকিস্তানের আরও একটি চাঞ্চল্যকর কাজের খবর সামনে এসেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই দেশে স্থিত সন্ত্রাসবাদীদের খুশি করতে পাকিস্তান লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতর মুরিদকের কাছে একটি বিমানবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে পাকিস্তান তার সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার চিন্তাভাবনাকে রীতিমতো সকলের কাছেও উপস্থাপিত করে ফেলেছে।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মুরিদকে হল পাকিস্তানে সন্ত্রাসীবাদীদের আশ্রয়স্থল। বিশেষ করে জঙ্গি সংগঠন “লস্কর-ই-তৈবা”-র সদর দফতর হিসেবেও পরিচিত ওই এলাকা। এমতাবস্থায়, মুরিদকেতে নির্মিত ওই বিমানবন্দরে দু’টি রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, ওই বিমানবন্দরের দূরত্ব এলওসি থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার। এছাড়াও জম্মু থেকে বিমানবন্দরটির দূরত্ব হল ১২৫ কিলোমিটার।

ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্ব জানে যে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের জন্য একাধিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। যেখান থেকে সন্ত্রাসীবাদীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রতিবেশী দেশসহ সমগ্ৰ বিশ্বে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকে। এমতাবস্থায়, পাকিস্তান আবারও ওই পদক্ষেপের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের কাছে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করার উদাহরণ তুলে ধরল। যদিও, এই বিষয়ে ভারত এখনও কোনো বিবৃতি দেয়নি।

AP BLD PIA A320 at DAC 20 02 16 1

এই আতঙ্ক তাড়া করছে পাকিস্তানকে: মূলত, ভারত লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতরে হামলা করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পাক সেনা। আর সেই কারণেই এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পাকিস্তান। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই বিমানবন্দরটি ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই সেখানে দিনরাত কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। এমতাবস্থায়, পাকিস্তানের এহেন তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত কি পদক্ষেপ নেয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর