নববর্ষের শুরুতেই মন দিয়ে করুন লক্ষ্মী-গণেশের পুজো, বছরভোর কাটবে সুখে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নববর্ষ (Nababarsha) মানেই বাংলা নতুন বছরের শুভ সূচনা। প্রতিটি বাঙালির কাছে আজকের এইদিনটি অন্যান্য উৎসবের থেকে এক বিশেষ মাত্রা পায়। প্রত্যেক বছর এই দিনটি উৎসবের ন্যায় পালন করা হয়। ঘরে ঘরে পুজো করা হয়। অনেকে আবার মন্দিরে গিয়েও পুজো দিয়ে আসেন। এই দিন প্রত্যেক ব্যবসায়ী তার দোকানে গণেশ দেবতার পুজো করেন। ব্যবসায়ে উন্নতির জন্য গণেশ (ganasha) দেবতা সঙ্গে লক্ষ্মী (lakshmi) দেবীর পুজো করেন।

পুজোর মাহেন্দ্রযোগ শুরু হচ্ছে সকাল ৭টা বেজে ১ মিনিট থেকে। পুজোর শুভ সময় থাকছে সকাল ১০টা ২২ থেকে বেলা ১২টা ৫২ পর্যন্ত। অভিজিৎ মুহূর্ত থাকছে সকাল ১১টা ১২ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ।

অনেকেই আবার এই দিন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যান। আবার অনেকে বাড়িতে থেকেই বিভিন্ন পদে ব্যঞ্জন বানিয়ে আহার করেন। খেতে ভালোবাসা বাঙালী, এই দিনটি খাবারের উপরই বেশি জোর দেয়। ‘নো ডায়েট, অনলি খাওয়া দাওয়া’- এই পন্থাও অবলম্বন করেন অনেকেই।

এই দিন গণেশ দেবতার সঙ্গে লক্ষ্মী ঠাকুরকেও পুজো করা হয়। ধনরত্নের দেবী লক্ষ্মীকে পুজো করলে, ধনের শ্রী বৃদ্ধি হয়। বিভিন্ন দোকানে তো বটেই, তার সাথে অনেক বাড়িতেও এই পুজো করা হয়। পুজো শেষে প্রসাদ পর্বের পর হয় ভোজন পর্ব। কেউ নিরামিষ, আবার কেউ আমিষ। যাদের যেমন নিয়ম, তারা সেই ভাবে এই দিনটিকে পালন করেন। আবার কেউ নিজেদের মতো করে যা ইচ্ছে তাই বানিয়েই খান।

পুরাণ মতে, সৌর পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বার মাস অনেককাল আগে থেকেই পালিত হতো। সৌর বছরের প্রথম দিন অবিভক্ত বাংলায় অনেক আগে থেকেই এই উৎসব পালিত হত। বর্তমানে নববর্ষ নতুন বছরের সূচনার নিমিত্তে পালিত হয়। তবে আগে কিন্তু এমনটি হত না। পুরাকালে নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ আতর্ব উৎসব অর্থাৎ ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে পালিত হত। নতুন ফলস উৎপন্ন হলে এই উৎসব পালন করা হত।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর