দলের উপর অভিমান আরো এক বিধায়কের, ভাঙ্গন আটকাতে দৌড়াল পিকের টিম

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ‘তৃণমূলেই (All India Trinamool Congress) ছিলাম, তৃণমূলেই আছি’, পিকের টিমের সঙ্গে বৈঠকেই পরই জানালেন বিধায়ক দীপক কুমার হালদার (dipak haldar)। নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে দলে ভাঙ্গা গড়ার ঘটনা তত বেশি করে প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলায় নিজেদের গদি বাঁচিয়ে রাখার লড়াইয়ে ক্রমাগত তৃণমূলকে মাত দিচ্ছে বিজেপি। বাংলার মানুষকে বিজেপির ধর্মে দীক্ষিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে গেরুয়া শিবির।

   

সম্প্রতি তৃণমূলে বড় ভাঙ্গন ধরে যখন সবুজ শিবির ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে নাম লেখান শুভেন্দু অধিকারী। এই বড় ভাঙ্গনকে স্বীকার না করলেও, তৃণমূল যে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তা বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি বাংলার অন্যান্য সকল রাজনৈতিক শিবিরের। এরপর থেকেই আরও নড়েচড়ে বসেছে ঘাসফুল দল। দলীয় কোন নেতা মন্ত্রীকে বেসুরো গান গাইতে দেখলেই পিকের টিম ছুটে যাচ্ছে তাঁর কছে।

dipak haldar,দীপক কুমার হালদার,তৃণমূল,All India Trinamool Congress

দিন কয়েক আগেই তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক কুমার হালদারের মধ্যে বেসুরো মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন স্যোশাল মিডিয়ায়। এমনকি সংবাদ মাধ্যমেও জানান গত সাড়ে চার বছর ধরে তাঁকে কাজ না করতে দেওয়ায় নিজের ক্ষোভের কথা। আবার ডায়মন্ড হারবারে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তাঁর অনুপস্থিতি। সব মিলিয়ে তৃণমূলের অন্দরে ক্রমশ দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমা হচ্ছিল।

বিন্দুমাত্র দেরি না করেই তড়িঘড়ি ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক কুমার হালদারের বাড়ি চলে যায় পিকের টিম। মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের চার প্রতিনিধি এবং দীপক কুমার হালদারের মধ্যে প্রায় আধঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে দুপক্ষের মধ্যে। তবে বৈঠক শেষে এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাননি বিক্ষুব্ধ বিধায়ক। তবে এটুকুই বলেছেন, ‘তৃণমূলেই ছিলাম, তৃণমূলেই আছি। পরবর্তীতে আর রাজনীতি করব কিনা, ১৫ ই জানুয়ারীর পর সিদ্ধান্ত নেব’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর