গোপন জায়গায় পরমাণু অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান, রিপোর্টে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

 

   

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি মাসেই কাশ্মীরের ৩৭০ নম্বর ধারা খারীজ করে কাশ্মীরকে ভারতের রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্।তারপর থেকেই ভারতের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাক সংসদে দাঁড়িয়েও ইমরান খান দ্বিতীয়বার পুলওয়ামা হামলা হওয়ার হুমকিও দেন।

সম্প্রতি পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী বলেন, অক্টোবর বা নভেম্বর মাসের মধ্যেই ভারত ও পাকিস্তানের যুদ্ধ লাগবে। কিছুদিন আগেই নিজেকে ‘কাশ্মীরের দূত’ বলে উল্লেখ করে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘যদি কাশ্মীর যুদ্ধের দিকে যায় তাহলে মনে রাখতে হবে দুই দেশের কাছে পরমাণু অস্ত্র আছে।আর পরমাণু যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না। কাশ্মীর স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমার চেষ্টা চলবে। কাশ্মিরী জনগণকেও আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আমি সারা বিশ্বে কাজ করব যতক্ষণ পর্যন্ত কাশ্মীর স্বাধীন না হবে। প্রতিটি ফোরামে আমি এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আওয়াজ তুলব।”


এর মধ্যেই একদল মার্কিন গবেষক এক চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে আমাদের সামনে। অন্তত গোপন জায়গায় পরমাণু অস্ত্র মজুদ করেছে পাকিস্তান। সেখানে অন্তত ১৩০ থেকে ১৪০ টি ওয়ারহেড রয়েছে বলে অনুমান গবেষকদের। এই ৯ টি জায়গার মধ্যে ৪ টি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের কাছে, তিনটি সিন্ধুপ্রদেশের কাছে, ও একটি বালুচিস্তান, এবং খাইবার পাখতুনখাওয়ার আশেপাশে।

জেনে নিন সেই জায়গা কোথায়

আকরো গ্যারিসন ( সিন্ধ প্রদেশ) সম্ভবত এখানে মাটির নিচে চাপা রয়েছে পরমাণু অস্ত্র।

গুজরানওয়ালা গ্যারিস (পাঞ্জাব) এখানে এক প্রত্যন্ত জায়গায় মজুদ আছে পরমাণু অস্ত্র।

খুজদার গ্যারিসন( বালোচিস্তান) সম্ভবত এখানেও মাটির নিচে চাপা রয়েছে পরমাণু অস্ত্র

মাসরুর ডিপো (করাচি) মিরাজ বিমান থেকে নিক্ষেপ করার মত বোমা মজুদ আছে বলে অনুমান করা যাচ্ছে।

ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কমপ্লেক্স (পাঞ্জাব) লঞ্চার ও ওয়ারহেড থাকার সম্ভাবনা।

সরগোড়া ডিপো (পাঞ্জাব)
F 16 বিমান থেকে নিক্ষেপ করার অস্ত্র মজুদ আছে এখানে

তারবালা ডিপো (খাইবার পাখতুনখাওয়ার) এখানে মজুদ রয়েছে ওয়ার হেড।

ওয়ার অর্ডিন্যান্স ফেসিলিটি (পাঞ্জাব) সম্ভবত এখানে তৈরি হয় ওয়ারহেড

ফেডারেশন অফ আমেরিকান সাইন্টিস্ট প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইসলামবাদ শুধু পরিমাণে বেশি অস্ত্রই মজুদ করছে না, অস্ত্র-গুলির গুণগত মানও বাড়ছে।

স্যাটেলাইট ইমেজ ও বিভিন্ন গবেষণার তথ্য ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা তৈরি করেছে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা।

সম্পর্কিত খবর