পাকিস্তান, তুর্কি, মালয়েশিয়া তিনটি দেশ এখন ভারতের শরণাপন্ন, চাইল ওষুধ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (COVID-19) সংকটের মধ্যেও বিভিন্ন প্রতিবেশি দেশকে ওষুধ (Medicine) দিয়ে সাহায্য করছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে চলেছে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করে, বিশ্ববাসীকে এই ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু এই ভাইরাসের সঠিক প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে এখনও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছে বিজ্ঞানী মহল। ভারতীয় বিজ্ঞানিদের মতে আগামী ২০২১ সালের আগে এই ভাইরাসের সঠিক ভ্যাকসিন আবিষ্কার সম্ভব নয়।

Modi 14 1

বিশ্বের সমগ্র দেশই এই ভাইরাসের প্রকোপ থেকে মুক্তি পেতে চাইছে। দিকে দিকে চলছে তারই প্রস্তুতি। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশকে তাঁদের চাহিদা মতো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দ্রব্য পাঠাচ্ছে ভারত। প্যারাসিটামল এবং হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন দিয়ে বেশ কয়েকটি দেশকে সাহায্য করেছে ভারত। যার দরুণ ভারতের প্রশংসাও করেছে বিভিন্ন দেশ।

কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ায় ভারতের বিরোধিতা করেছিল মালেয়শিয়া এবং তুর্কি। সেই সময়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে গেছিল মালেয়শিয়া এবং তুর্কি। প্রথম থেকেই সমস্যা চলতে থাকা পাকিস্তান এই ঘটনার ফলে বদলা নিতে চেয়েছিল। যার ফলে এই সকল দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরে। আবার, সম্প্রতি পাক সেনারা ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালায়। যার ফলে বেশ কিছু ভারতীয় নাগরিক নিহত হন। কিন্তু এখন এই সকল দেশই ভারতের থেকে করোনা প্রতিরোধের জন্য ওষুধের সাহায্য চেয়েছে।

corona virus getty

চীন ছাড়িয়ে করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফলে আতঙ্কে রয়েছে বিশ্ববাসী। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন দেশের পাশে দাঁড়িয়ে ওষুধ পাঠিয়েছে ভারত। আর তাই পাকিস্তান, মালেয়শিয়া এবং তুর্কিও ভারতের থেকে ওষুধের সাহায্য চেয়েছে। তবে ইতিমধ্যেই ভারত মালেয়শিয়ার অনুরোধ স্বীকার করে নিয়ে তাঁদের চাহিদার সামান্য পরিমাণ ওষুধ পাঠিয়েছে। এই সকল দেশের দোষ ভুলে গিয়ে ভারত তাঁদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর